g বাঞ্ছারামপুর পৌরসভায় স্যানিটারী ইন্সপেক্টর না থাকায় মুখ থুঁবড়ে পড়েছে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ কার্যক্রম | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২রা আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুর পৌরসভায় স্যানিটারী ইন্সপেক্টর না থাকায় মুখ থুঁবড়ে পড়েছে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ কার্যক্রম

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ৪, ২০১৭

---

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভায় ডিগ্রীধারী স্যানিটারী ইন্সপেক্টর না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে পৌর এলাকায় খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ কার্যক্রম।স্যানিটারী ইন্সপেক্টর না থাকায় বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালের লেতুর (অদক্ষ ও অলস) স্বাস্থ্য কর্মী দিয়ে স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে।এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে থাকে নানা অনিয়মের অভিযোগ।সঠিক তদারকি অভাবের ফলে ভেজাল খাবার খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে পৌরবাসী। অন্যদিকে যথাযথ প্রসিকিউশনের অভাবে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ও পৌর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে দেশের ৩২৭ পৌরসভার মধ্যে সি-গ্রেড-১৪০টি এর মধ্যে বাঞ্ছারামপুর কসবা,আশুগনজ এবং বাঞ্ছারামপুরের পার্শ্ববর্তী হোমনা (কুমিল্লা) পৌরসভা অর্ন্তভূক্ত ফুড সেফটির উপর স্যানিটারী ইন্সপেক্টরশীপ ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পদায়ন নেই। ফলে এসব পৌরসভায় খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তাবলয় তৈরী কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে ভেজাল খাবার খেয়ে প্রতিনিয়ত লিভার ক্যান্সার, কিডনী অকেজো হয়ে যাওয়াসহ শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে জনগণ। গর্ভবতী মায়েরা ভেজাল খাবারের প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশু জন্মদান করছেন। বাড়ছে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা। অপরদিকে এসব পৌরসভায় পৌরকর্তৃপক্ষ প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

সরেজমিনে,ঘুরে দেখা গেছে বৃহত্তর কুমিল্লার সবচেয়ে বড় হাট-বাজার হিসেবেখ্যাত বাঞ্ছারামপুরের মওলাগন্জ বাজারে (বড় বাজার) প্রতি রবিবারের হাটে গড়ে ২৫ জন ভূয়া ভ্রাম্যমান গ্রাম্য ডাক্তার ভেজাল ওষুধ বিক্রেতা প্রকাশ্যে টোটকা চিকিৎসা করছেন।এতে শত-শত দরিদ্র-নিরক্ষর সাধারন মানুষ প্রতারিত হচ্ছে তাদের ক্যাম্ভাসভিত্তিক তোতাপাখির মতো মিষ্টি কথার ফুলঝুড়িতে আকৃষ্ট হয়ে সরকার অনুমোদিত ওষূধ কিনে আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা বলেন,-‘আমার পৌরসভায় জরুরী ভিত্তিতে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দরকার।নইলে ভেজাল প্রতিরোধ করা দুষ্কর হয়ে পড়বে’।সরকারের স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিপু মোল্লা বলেন,-‘আমি,আপনি আমরা সহ আমাদের শিশুরা প্রকাশ্যে নিত্যদিন খোলা আকাশের নীচে যে সমস্ত ভেজাল খাদ্য,পৌর এলাকার স্বাস্থ্যখাতে নানা অনিয়ম,অসঙ্গতি বন্ধ করা যাবে না’। বাঞ্ছারামপুর পৌরমেয়রের সাথে সহমত পোষন করে একই মন্তব্য করেন,হোমনা পৌরসভার মেয়র মো.নজরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ঢাকার স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার পর,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উর্ধতন কর্মকর্তা এই প্রতিনিধিকে বলেন,-‘বিষয়টি লবিং এর উপর নির্ভর করে।তবে,সরকার চেষ্টা করছে সব পৌর এলাকায় দ্রুত ভেজাল প্রতিরোধে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দেয়ার’।

এ জাতীয় আরও খবর