ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোকামগুলোতে কমতে শুরু হয়েছে চালের দাম

---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অবশেষে দাম কমতে শুরু করেছে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তর চালের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে।গত কয়েকদিনে মিল পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম কমেছে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। মিল মালিকরা বলছেন, চাল আমদানীতে শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। চালের দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে পাইকারি বাজারে চালের দাম কমার প্রভাব পড়েনি এখনো খুচরা পর্যায়ে। ফলে স্বস্তি ফেরেনি সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে। দেশের বৃহত্তর হাওরঅঞ্চল হিসাবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলায় আকস্মিক বন্যায় ধান তলিয়ে যাওয়াতে আশুগঞ্জ মোকামে ধানের আমদানি একেবারে কম হয়েছে। এতে চালের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পায়। দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চালের বাজার উর্ধ্ব মুখি হওয়াতে চুক্তি করেও সরকার নির্ধারিত মুল্যে খাদ্য গুমামে চাল দেয়নি মিল মালিকরা। চাল সংগ্রহ করতে না পারায় জেলার খাদ্য গুদামে মুজদ কমে গেছে বহু গুন। আর এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোসহ সরকার নানা মুখি উদ্যোগ নেয়। আর উদ্যোগের ফলে চালের বাজার কমতে থাকে।
গত ১ সপ্তাহ আগে আশুগঞ্জ মোকামে বি আর-২৮ সিদ্ধ (৫০ কেজি) চালের বস্তা ২২০০ থেকে ২২২৫ টাকা বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে সে চাল এখন ২০০০ থেকে ২০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বি আর-২৮ আতপ চাল (৫০ কেজি) বস্তা গত ১ সপ্তাহ আগে ২২০০ থেকে ২২৫০ টাকা বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে সে চাল এখন ২০০০ থেকে ২০২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজ জানিয়েছেন, বর্তমানে চালের পার্শ্বাপাশি ধানের বাজারও নিন্ম মুখি।
উল্লেখ্য, দেশের বৃহত্তর হাওর অঞ্চল হিসাবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ জেলার উৎপাদিত বোরো মৌসুমের হাজার হাজার মণ ধান নৌকা দিয়ে আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে। এ সব ধান আশুগঞ্জে প্রায় চার শতাধিক চাতালকলে প্রক্রিয়াজাত করে চাউলে রূপান্তর করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও নৌ পথে সরবরাহ করে তা এসব এলাকার চাউলের চাহিদা পুরণ করা হয়।