নতুন একটি লাভজনক এবং দ্রুত বর্ধণশীল শিল্প ডাটা এখন সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের প্ররোচিত করছে। এক শতাব্দী আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলো তেল। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগ তেলের আধিপত্যকে কিছুটা খর্ব করেছে। আর তেলের আধিপত্যকে ধীর নয় বরং দ্রুততার সঙ্গেই দখল করে নিচ্ছে ডাটা।
অ্যালফাবেট (গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সংস্থা), অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেসবুক এবং মাইক্রোসফট বিশ্বের পাঁচটি মূল্যবান ও শীর্ষস্থানীয় সংস্থা। তাদের লাভ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এই সংস্থাগুলো যৌথভাবে ২০১৭ সালের প্রথম তিন মাসেই মোট মুনাফায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি যোগ করেছে। এ সময়ের মধ্যে আমেরিকানরা অনলাইনে যে টাকা খরচ করেছে তার অর্ধেকেরও বেশি ধরেছে অ্যমাজন। গত বছর আমেরিকায় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে রাজস্ব বৃদ্ধির মূলে আছে গুগল এবং ফেসবুক।
টেক জায়ান্টদের এমন আধিপত্য ২০ শতকের শুরুর দিকের অপ্রতিরোধ্য শক্তি তেলের অবস্থানকে ভেঙে-চুরে দিয়েছে। টেক জায়ান্টদের সাফল্যের সঙ্গে উপকৃত হচ্ছে এর ভোক্তারাও। পৃথিবীতে এখন কম লোকই আছে যারা গুগল ব্যবহার করতে চান না, কিংবা দেখেন না ফেসবুকের নিউজফিড। এসব সাইটে ঢুকে আপনিও অনবরত খরচ করে চলেছেন ডাটা; যা মেগাবাইট (এমবি) হিসেবে আপনাকে কিনে নিতে হচ্ছে।
বিগত বছরগুলোতে আপনার হাতে এসেছে স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন ব্যবহারে আপনাকে আরও বেশি পরিমানে এমবি ক্রয় করতে হচ্ছে। ডাটা কোম্পানিগুলোর শক্তি এভাবে ক্রমশই বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে ডেটার দামও।
বর্তমানে আপনার টিভি দেখা থেকে শুরু করে, মোবাইল ব্যবহার, এমনকি উদাহরণস্বরূপ আপনি ট্রাফিক জ্যামে আটকে আছেন সেখানেও আপনি এর থেকে মুক্তির জন্য ডাটা খরচ করে দেখছেন কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিংবা কোন কোন পথে আপনি জ্যামটিকে এড়িয়ে যেতে পারবেন ইন্টারনেটে তার উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
এভাবে প্রতিনিয়ত আপনি ফেসবুক, গুগল, টুইটার, আনলাইন বাজারগুলোতে ডাটা তথা অর্থ ব্যয় করে চলেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব দেশের তারা আপনাকে সেবা দিয়ে আপনার অর্থকে নিয়ে যাচ্ছে তাদের দেশে। কোন দেশ যদি মনে করে বিদেশী ডাটা সংস্থাগুলোকে কোন অর্থ দেবেনা তবে, শীঘ্রই নিজ দেশে এগুলোর বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে তাদের। ইকোনেমিস্ট অবলম্বণে