আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি আয় কমেছে
---
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকার পণ্য কম রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে এক লাখ ৯৯ হাজার ২৮৯ মেট্রিকটন পণ্য রপ্তানি হয়, যার মূল্য ২১৪ কোটি ৮৮ লাখ ছয় হাজার ৬৬০ টাকা। ১৫-১৬ অর্থবছরে ২৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ৭২ হাজার ১২ টাকার পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি হয়।
অন্যদিকে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থ বছরে রপ্তানি আয় কম হয়েছে প্রায় ১১২ কোটি টাকা। পণ্যের ওজন হিসেবে উল্লেখিত সময়গুলোর তুলনায় গত অর্থবছরে প্রায় তিনভাগের এক ভাগ পণ্য রপ্তানি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
আখাউড়া কাস্টমস সূত্র জানান, এছাড়া ১৪-১৫ অর্থবছরে ৩১৬ কোটি টাকা ও ১৩-১৪ অর্থবছরে ২০৭ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। সর্বশেষ গত ৬ জুলাই সাতটি ট্রাকে ৩০ টন মাছ ও মাত্র দুইটি ট্রাকে পাথর রপ্তানি হয়। ৮ জুলাই ২২ টি ট্রাকে সিমেন্ট ও একটি ট্রাকে করে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরটি মূলত রপ্তানিমুখী। এ বন্দর দিয়ে মাছ, পাথর, সিমেন্ট, প্লাস্টিক সামগ্রী ইত্যাদি পণ্য বেশি রপ্তানি হয়। বাধ্যবাধকতা থাকায় তুলনামূলকভাবে এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি একেবারে হয় না বললেই চলে। বিগত সময়ে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুইশ ট্রাকে করে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হতে দেখা যায়। এখন দিনকে দিন রপ্তানি কমে যাচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি ব্যাপক হারে কমে গেছে। বিশেষ করে ভারতে ডলারের দাম বাড়া, রুপির বদলসহ বিভিন্ন কারণে বন্দরের রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।তিনি আরো বলেন, এ বন্দর দিয়ে পাথর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হতো। কিন্তু ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যেও রেল ও সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার ব্যবসায়িরা আভ্যন্তরীণ পরিবহনে সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া মাঝখানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিতে প্রভাব পড়ে। এ বন্দরকে টিকিয়ে রাখতে হলে পণ্য আমদানির যে বাধ্যবাধকতা আছে তা উঠিয়ে ফেলতে হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন কারণেই গত অর্থ বছরে রপ্তানিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তবে চলতি মাসে কেন খুব একটা পণ্য যাচ্ছে না সে বিষয়টি তাঁর জানা নেই।