g জার্মানি থেকে বিমানে করে ১৬৫টি গাভী আনল কাতার | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ২১শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৬ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জার্মানি থেকে বিমানে করে ১৬৫টি গাভী আনল কাতার

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৩, ২০১৭

---

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সৃষ্ট সংকটের ফলে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর অবরোধের যাতাকলে পড়েছে কাতার। দেশটিতে দেখা দিয়েছে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের সরবরাহ সংকট। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প উৎসের সন্ধানে নেমেছে দোহা।

চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে উন্নত জাতের গাভি আনার উদ্যোগ নিয়েছে তারা। প্রথম দফায় জার্মানি থেকে ১৬৫টি গাভি আনা হয়েছে কাতারে। মোট ৪ হাজার গাভি আমদানি করা হবে।

বুধবার কাতার এয়ারওয়েজের একটি কার্গো বিমানে গরুগুলো আনা হয়। সংকটকালীন চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি খামারে গরুগুলো রাখা হয়েছে।

কাতারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল গরুগুলো আমদানি করছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মৌতাজ আল-খায়াত গত মাসে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, ৪ হাজার গরু কাতারে আনা গেলে, দেশের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। নতুন একটি ব্র্যান্ডে বিক্রি করা হবে তাদের পণ্য। পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মৌতাজ আল-খায়াতের নামানুসারে ‘মি. আল-খায়াত’ নামে চালু হচ্ছে নতুন ব্র্যান্ড।

স্থল, আকাশ ও নৌপথে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করায় খাদ্য চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। কাতার তার ২৭ লাখ জনগণের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের বেশির ভাগ আমদানি করে থাকে।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন সার্বিকভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করায় খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে বিকল্প ভাবতে হচ্ছে কাতারি সরকারকে। ইরান ও তুরস্ক কাতারের পাশে দাঁড়ালেও পুরোপুরি চাহিদা মেটাতে ঘাম ঝরছে দেশটির।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও ইরানকে সাহায্য করার অভিযোগে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে উপসাগরীয় ওই চার দেশ। এসব দেশের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে তাদের কয়েকটি মিত্র দেশ। তবে কাতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।

এদিকে, কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর অচলাবস্থা নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে কুযেত ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন কাতারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। একই উদ্দেশ্যে বুধবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তিনি। তবে কাতারের সংকটের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও ভূমিকা রয়েছে। সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় অন্য দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, তাতে সমর্থন দেন ট্রাম্প।

এ জাতীয় আরও খবর