বাঞ্ছারামপুরে ঈদ উপলক্ষ্যে গলাকাটা ভাড়া : প্রশাসন নিরব
---
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি : ব্রাক্ষনবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের সর্বত্র অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় পরিবহন ভাড়া,বিশেষ করে সিএনজি চালিত গাড়িগুলো দ্বিগুন হতে ১০ গুন বেশী ভাড়ানেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অর্ধশতাধিক যাত্রী ক্ষুদ্ধ হয়ে জানায়, ৫০ টাকার ভাড়া ৩ শ টাকা নিচ্ছে সিএনজি ড্রাইভাররা।কারন জানতে চাইলে,সিএনজি চালক আবু সাঈদ বলেন,-‘কি করবো?সরকার সিএনজির মূল্য বৃদ্ধি,ভাঙ্গা রাস্তা,যাত্রীদের মাঝ পথে বিলম্ব,গৌরিপুর (দাউদকান্দি) বা নরসিংদীর মাধবদীতে গ্যাস আনতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হয়ে যাবার কারনে ঈদ মৌসুমে কিছুটা তো বেশী নিতেই হয়।তবে,যাত্রীরা যতোগুন বাড়িয়ে বলেছেন,সেটি ছিক না।’’খোজ নিয়ে জানা গেছে,বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউপির কড়িতোলা ফেরিঘাট ও মরিচাঘাটের সিএনজি ষ্টেনের সকল সিএনজি ভাড়া দিগুন করেছে বাঞ্ছারামপুর ৪০ টাকার ভাড়া ৮০টাকা,রুপুসদি ৬০ টাকার ভাড়া ১০০টাকা, রামচন্দ্রপুর ১২০ টাকার ভাড়া ২২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের উল্টো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল এবং নানাভাবে নাজেহাল হতে হতে হচ্ছে।সিএনজি ড্রাইভারগন যে যার মতোভাড়া নিচ্ছেন।নিয়ম-নীতির কোনো বালাই নেই।এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে,বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা বলেন,-‘ঈদ তো..কিছুতো বেশী নিবেই’।এদিকে,সিএনজিযোগে ফরদাবাদ ইউপির অন্তর্গত ওয়াইব্রীজে সিএনজি যোগে ইয়াবাবিক্রি/সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বারবার ফোনে চেষ্টা করেও কথা বলাসম্ভব হয়নি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের প্রায় সবাই ঈদেও ছুটিতে বাড়িতে। অন্যদিকে,ড্রাইভারদের সাথেকথা বলে জানা যায়,তাদের গাড়ির সিরিয়াল দিতে ২০ টাকার স্থলে এখন নেয়া হয় ১০০ টাকা করে সেই সুবাদে ড্রাইভার সকলে মিলে ভাড়া দ্বিগুন করে নেয়।