সেহরিতে পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার
AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৩১, ২০১৭
---
অনলাইন ডেস্ক : গরমকালে দীর্ঘ সময় রোজা রেখে সুস্থ থাকার জন্য সেহরিতে অবশ্যই প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। যেহেতু গরমকালে রোজা, তাই শরীরের পানি চাহিদার প্রতি বিশেষ মনযোগ দেয়া দরকার।
শরীরের পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য তালিকায় সব ধরণের খাদ্য উপাদান যোগ করতে হবে। সেহেরিতে তাই প্রয়োজন সুষম খাবার । খাবারের ছয়টি উপাদান- শর্করা, স্নেহ, আমিষ, ভিটামিন, খনিজ ও পানি ইত্যাদি উপাদানগুলো প্রয়োজন মতো থাকতে হবে খাদ্য তালিকায়।
সাদা ভাত ও প্রোটিন
ভাত যেহেতু বাঙালির প্রধান খাবার তাই সেহরিতে সাদা ভাত রাখুন। রুটি খেতে অভ্যস্ত হলে রুটি খেতে পারেন। পাউরুটি ও দুধও খেতে পারেন। এর সঙ্গে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস অথবা ডিম এবং সাথে যে কোনো একটি সবজি রাখুন।
আঁশজাতীয় খাবার, শক্ত খাবার
অনেকে মনে করে থাকেনসারাদিন কিছু খাওয়া হবে না তাই সেহেরিতে বেশি করে খেতে হবে। এটা একটা ভুল ধারণা। বরং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সেহেরিতে আঁশ বহুল খাবার বা হজম দেরিতে হয় এমন খাবার খাওয়া ভালো। শরীর ঠিক রাখতে সেহেরিতে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- ভাত, রুটি ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখা ভালো। এর সঙ্গে আমিষ ও স্নেহ পদার্থের চাহিদা মেটানোর জন্য মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
শাকসবজি ও ফল
যেহেতু রোজা গরমকালে, তাই যতটা সম্ভব মাংস এড়িয়ে চলুন। সেহেরিতে যতটা সম্ভব শাকসবজি ও ফল খাওয়া ভালো। এতে শরীর সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকবে। অনেকের শাক হজমে সমস্যা হয় তারা শাকের পরিবর্তে বেশি করে সবজি ও ফল খান। গরমকালে রোজা, তাই শরীর সুস্থ রাখতে সেহেরিতে পর্যাপ্ত পানি করুন, সম্ভব হলে তাজা ফলের রস খান। এটি শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করে শরীরকে সুস্থ রাখবে।
দুধ
সেহরি ভোররাতের খাওয়া, আর সারাদিনের রসদ জোগানো হয় এই খাবার থেকেই। তাই এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই পছন্দ ও রুচিমতো খাবার খাওয়া যেতে পারে। তবে সেহরিতে এক গ্লাস দুধ খেতে পারলে তা সারাদিনের প্রোটিনের একটা বড় অংশই পূরণ করে দেয়।
এড়িয়ে চলুন শুকনো খাবার
শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। এ ধরনের খাবার শরীরকে পানিশূন্য করে। যেহেতু গরমকালে রোজা, তাই এ ধরনের খাবার বর্জন করা ভালো।
চা কফি থেকে দুরে থাকা ভালো
সেহরির সময় চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকুন। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায়।
তেলে ভাজা খাবার বর্জন
উচ্চ চর্বিসমৃদ্ধ এবং তেলে ভাজা খাবার সেহরিতে খাবেন না। এ ছাড়া পাকস্থলীতে অস্বস্তি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।
মসলা, কোমল পানীয় ও ধুমপান বর্জন
লবণাক্ত খাবার পরিহার করুন। আচার, বেশি মসলাজাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভারি ডেজার্ট, কোমল পানীয় ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
বাসি খাবার খাবেন না
কখনোই না খেয়ে রোজা থাকবেন না। এতে পরবর্তী সময় অপুষ্টিতে ভুগবেন। একই ধরনের খাবার খেলে একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। রান্নার পদে পরিবর্তন আনতে পারেন। এতে খেতে ভালো লাগবে। তবে কোনভাবেই বাসি খাবার খাবেন না।
– See more at: http://bangla.samakal.net/2017/05/29/296602#sthash.QYo2KFP4.dpuf