বাংলাদেশকে ৩২৫ রানের চ্যালেঞ্জ ভারতের
---
স্পোর্টস ডেস্ক :চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালাই করে নেওয়ার জন্য আজ প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে শিখর ধাওয়ান, কেদার যাদব ও হার্দিক পান্ডের লড়াকু ব্যাটিংয়ে ভারতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছে ৩২৫ রানের লক্ষ্য। এই ম্যাচটা জিতে দাপুটে ভঙ্গিতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরু করতে চাইবে টাইগাররা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম ওভারটা সাবধানেই খেলেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসেই ভারতকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন রুবেল হোসেন। প্রথম বলেই বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন রোহিত শর্মাকে। কয়েক ওভার পর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে অজিঙ্কা রাহানেকে বোল্ড করেছেন মুস্তাফিজ। তৃতীয় উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ে অবশ্য প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নিয়েছিলেন ধাওয়ান ও কার্তিক। বেশ কয়েকজন বোলার ব্যবহার করেও এই জুটি ভাঙতে পারছিল না বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত অনেক সাধ্যসাধনার পর সানজামুল ভেঙেছেন এই জুটি। ৬০ রান করে ফিরে গেছেন ধাওয়ান। ৭৭ বলে ৯৪ রান করে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন কেদার যাদব। শেষপর্যায়ে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন হার্দিক পান্ডে। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫৪ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। মেরেছেন চারটি ছয় ও ছয়টি চার।
বল হাতে ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছেন রুবেল, মুস্তাফিজ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। মুস্তাফিজ ৮ ওভার বল করে দিয়েছেন ৫৩ রান। নিয়েছেন একটি উইকেট। মিরাজ কোনো উইকেট না পেলেও করেছেন দারুণ কৃপণ বোলিং। নয় ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ৩৯ রান। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম দুইটি উইকেট নিলেও ৯ ওভার বল করে দিয়েছেন ৭৪ রান।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ বিশ্রাম দিয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ওপেনার তামিম ইকবালকে। আজ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। শুরুতেই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব।
গত কয়েক বছরে জমজমাট কয়েকটি মুখোমুখি লড়াই উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বিতর্কিত কোয়ার্টার ফাইনালটার কথা এখনো ভোলেনি ক্রিকেটবিশ্ব। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ১ রানে হারটা এখনো বেদনা জাগায় বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে। ফলে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও মাশরাফি-সাকিবরা যেন ভারতকে হারের স্বাদ দিতে পারেন—এমন প্রত্যাশাই করছেন তাঁরা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এটাই বাংলাদেশ ও ভারতের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর বাংলাদেশ প্রায় জেতা ম্যাচটা শেষমুহূর্তে হেরে গেছে পাকিস্তানের কাছে। আর একটি জয় দিয়ে আরো আত্মবিশ্বাস সংগ্রহের চেষ্টাই থাকবে দুই দলের ক্রিকেটারদের।
ওয়ানডে ক্রিকেটের পরিসংখ্যানে কোনোই প্রভাব ফেলবে না ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ-ভারত বলেই হয়তো ম্যাচটা ছড়াতে পারে বাড়তি উত্তাপ। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও সেটি গুরুত্ব দিয়েই প্রচার করছে চ্যানেলগুলো। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচটা ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখতে পাবেন মাছরাঙা, গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টসে।