বৃহস্পতিবার, ১১ই মে, ২০১৭ ইং ২৮শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

এবার আর আইপিএল মাতাবেন না আমলা

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৯, ২০১৭

স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএল বুঝছে, এত দিন তারা কোন রত্নটির দিকে অবহেলাভরে তাকাত। হাশিম আমলাও হয়তো বুঝতে পারছেন, বলিউডি গ্ল্যামার আর নৈশপার্টির ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলতে পারলে আইপিএল মন্দ নয়। এই দুইয়ের টায়ে টায়ে মিল হয়ে গিয়েছিল বলেই এবার আইপিএল দেখেছে আমলার ঝলক। কোহলি-রোহিত শর্মাদের মতো চাকচিক্য হয়তো নেই তাঁর ঠাটবাটে। ক্রিস গেইলের মতো বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ব্র্যান্ডও নেই। তবে আমলার যা আছে, তা দিয়েই এবার এক আসরে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন।

তবে আপাতত এখানেই ইতি। গত ম্যাচে গুজরাট লায়নসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেই এবারের আসরকে বিদায় বলতে হচ্ছে আমলাকে। দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান ফিরে যাচ্ছেন দেশে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৪ মে প্রথম ওয়ানডে। তবে এরই মধ্যে দলের অনুশীলন শুরু হচ্ছে। আমলা, ডেভিড মিলারদের তাই ফিরে যেতে হচ্ছে দেশে।
এবার সত্যিই আইপিএল মাতিয়েছেন আমলা। একই সঙ্গে চোখজুড়ানো ব্যাকরণসিদ্ধ ব্যাটিং, কখনো কখনো চমকে দেওয়া ইম্প্রোভাইজ শট, দুই-ই মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। গতবারই প্রথম আইপিএলের স্বাদ পেয়েছিলেন। তবে সেটা ছিল আধাআধি। খেলেছেন মাত্র ৬ ম্যাচ। এবার শুরু থেকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মূল ভরসা হয়ে ছিলেন।
প্রীতি জিনতার দলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বা শন মার্শ থাকলেও আমলার দ্যুতিতে তাঁরা ম্লান হয়ে গেছেন। ১০ ম্যাচে ৬০ গড়ে আমলার রান ৪২০। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি। ১১ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলের রান ২১৯, ৬ ম্যাচে মার্শের রান ২১৮। সব দল মিলিয়েই টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান আমলার। বাকি চারজনই খেলেছেন দুটি করে বেশি ম্যাচ।
এই মুহূর্তে দলের যা অবস্থা, তাতে আমলাকে ভীষণ মিস করবে পাঞ্জাব। আইপিএল থেকে তিন দলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। গুজরাট, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। বাকি পাঁচ দলের মধ্যে জমে উঠেছে প্লে অফে যাওয়ার লড়াই। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে পাঞ্জাব।
শেষ পর্যন্ত ফল যা-ই হোক, এবারের আইপিএল হয়ে থাকবে আমলার। আমলাও বলেছেন, শেষ পর্যন্ত শুদ্ধ ক্রিকেটেরই যে জয় হয়, সেটা আইপিএলও এখন বুঝতে পারছে। খেলাটা যে সংস্করণেই হোক না কেন, লম্বা দৌড়ে সেই ব্যাটসম্যানরাই ভালো করেন, যাঁদের ব্যাটিং শুদ্ধ। আমলা বলেছেন, ‌‌‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা যে-ই খেলুক না কেন, তাকে উপায় জানতে হয়, প্রতিটা বল থেকে কী করে সবচেয়ে বেশি রান তোলা যায়। আপনি টি-টোয়েন্টিতে এমন অনেক সফল ব্যাটসম্যান খুঁজে পাবেন, যারা তথাকথিত টি-টোয়েন্টি উপযোগী নয় বলে ভাবা হয়। তারা এখানেও ভালো ক্রিকেট শট খেলেই প্রচুর রান করতে পেরেছে।’
শুরুর দিকে আমলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। আমলাও এই রংচঙে ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। গত ১০ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। আমলা মনে করেন, আইপিএলের বাস্তবতা এখন আর অস্বীকারের উপায় নেই। আবার আইপিএলের দলগুলোও এখন বুঝেছে, ধরো আর মারোই টি-টোয়েন্টির শেষ কথা নয়। সূত্র: পিটিআই,প্রথমআলো