বৃহস্পতিবার, ১৩ই এপ্রিল, ২০১৭ ইং ৩০শে চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে আ”লীগের নিজ ঘরে  দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সমীকরণে সুবিধাজনক অবস্হায় বিএনপি

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১০, ২০১৭

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ও আইয়ূবপুর এই দুই ইউনিয়নে  পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৬ ই এপ্রিল। প্রার্থীরা দিনরাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আর এতে বেশ জমজমাট নির্বাচনী প্রচারনা মাঠ। সর্বএ বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে,দরিয়াদৌলত ও আইয়ূবপুর ইউপিতে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা এখন বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িঁয়েছে। আওয়ামীলীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন দরিয়াদৌলতে ইউপিতে খালেক ও আইয়ূবপুরে আসাদুজ্জমান হক। তারা নির্বাচনের মাঠে স্বতন্ত্র্য প্রার্থী হলে ও আসলে মূলত দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। নির্বাচনের মাঠে  রাত-দিন  প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে দরিয়াদৌলতের ইউপি প্রার্থী আবু হানিফ ও আইয়ূবপুরে মনির হোসেন। সবদিক বিবেচনায় আ’লীগের ঘরের বিভাজনের কারণে বিএনপির প্রার্থী বেশ সুবিধাজনক অবস্হায় রয়েছে। কথা হয় আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দরিয়াদৌলত ইউপির খালেক এর সাথে তিনি বলেন, যদি সুষ্ঠুভোট গ্রহণ হয় তাহলে  বিপুলভোটে আমি জয়লাভ করব। এছাড়া তিনি নিজেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আসল সৈনিক হিসেবে নানা ব্যাখা দেন। অপর দিকে আ’লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শরিফুর ইসলাম রিপন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকা।বাঞ্ছারামপুরবাসী আগামী ১৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকার সন্মান রাখবে।এলাকাবাসী আমাকেই চায়’। জাতীয়তা বাদী দল (বিএনপি) প্রার্থী  দরিয়াদৌলতের চেয়ারম্যান  প্রার্থী  হানিফ বলেন, আ’লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে । তাদের ভোট ভাগ হবে যদি মানুষ শান্তি তে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না’। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন চন্দ্র ছন্দ জানান, ‘ ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে করতে যা প্রয়োজন করা লাগে তার সবটুকুই নির্বাচন কমিশন করবে। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক নির্বাচন দেখতে আসবে। ইউপির জন্য সারাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মুখে কালি লাগাতে দেবো না।সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে ।আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করতে “জিরো টলারেন্স” থাকবো। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন নির্বাচনী সমীকরনে,যদি আ.লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের কোন রকম ছাড় না দেন তাহলে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে জাতীয়তাবাদী (বিএনপি)দলের প্রার্থীরা। দুই ইউপিতে আ”লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীই হেভিওয়েট উপজেলার ও ইউনিয়নের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পদে উচ্চ পদে বহাল আছেন।