শুক্রবার, ১৪ই এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১লা বৈশাখ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

কোটালীপাড়ায় মুফতি হান্নানের কবর প্রস্তুত, স্থানীয়দের আপত্তি

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১২, ২০১৭

নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ফাঁসি কার্যকরে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মুফতি হান্নানের মরদেহ দাফন করার জন্য গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় কবর খোঁড়া সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলার হিরন গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে এ কবর খোঁড়া হয় বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন মুফতি হান্নান। যেকোনো সময় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।

এরপর কারাগার থেকে তার মরদেহ নিয়ে কোটালীপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

অন্যদিকে মুফতি হান্নানের মরদেহ দাফন নিয়ে কোটালীপাড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গ্রামবাসীরা মুফতি হান্নানকে কোটালীপাড়ায় দাফনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন।

এই ইস্যুতে এর আগে কোটালীপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল উপজেলা ছাত্রলীগ।

এছাড়া মুফতি হান্নানের হিরন গ্রামের কিছু বাসিন্দাও এখানে তার লাশ দাফন না করার দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছে।

এদিকে বুধবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে মুফতি হান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা, দুই মেয়ে নাজনীন খানম ও নিশি খানম এবং তার বড় ভাই আলী উজ্জামান।

উলেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়।

হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এ জাতীয় আরও খবর