গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু : সরাইলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গৃহবধূর লাশ দাফন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হওয়া এক গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করার ঘটনা ঘটেছে। ওই গৃহবধূর নাম রণি বেগম (৩৮)। তিনি উপজেলা তরুণলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিকল মিয়ার (৪০) স্ত্রী ছিলেন। শিকল মিয়া উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিকাল মিয়ার সাথে পুরাতন ঢাকার বাসিসন্দা রণি বেগমের বিয়ে হয় ছয় বছর অগে। এটি রণি বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে। রণি বেগমের আগের স্বামীর ৩টি ছেলে রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে শিকল মিয়ার সংসারে একটি ছেলে ও ১টি মেয়ে রয়েছে। গত শনিবার দিনভর রণি ও শিকলের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে শিকলের পরিবারের লোকজন রণি বেগমকে একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক ফ্যানে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখে। প্রতিবেশীরা রণিকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিছুক্ষণ পর শিকল মিয়ার পরিবারের লোকজন রণি বেগমের লাশ সৈয়দটুলা গ্রামে নিয়ে যান। এর পর চলে দাফনের চেষ্টা। সব কিছু ম্যানেজ করে রোববার সন্ধ্যায় সৈয়দটুলা গ্রামে রণি বেগমের লাশ সৈয়দটুলা গ্রামে দাফন করা হয়েছে। শিকলের পক্ষের লোকজন ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের বিষয়টি চাউর হচ্ছে গোটা সরাইলে।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান এ ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি। এ জন্য আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।