শনিবার, ৮ই এপ্রিল, ২০১৭ ইং ২৫শে চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

তিস্তা চুক্তি না হলেও আলোচনায় পানির অর্ধেক হিস্যা চাইব : রাষ্ট্রদূত

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ৫, ২০১৭
news-image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সময় তিস্তা চুক্তি না হলেও আলোচনায় নদীর প্রবাহের অর্ধেক পানির হিস্যা চাওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ।
বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে প্রতিরক্ষা ও তিস্তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয় কি না, যাবতীয় কৌতূহল এখন তাকে ঘিরেই।
প্রতিরক্ষা খাতে একটা সমঝোতার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে অতটা আশার সুর এখনও শোনা যাচ্ছে না।
সফরের ঠিক আগে এক সাক্ষাৎকার দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর কণ্ঠেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে তেমন আশাবাদ শোনা যায়নি।
ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে সমঝোতা আটকে আছে। কিভাবে বাধা ছোটানো যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিশ্চয়ই (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে) বলবেন। কিন্তু বাংলাদেশ প্রস্তুত। তিস্তায় পানির প্রবাহ যাই হোক- বাংলাদেশ যে তার অর্ধেকটা দাবি করবে সেটা রাষ্ট্রদূত পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রবাহ আট আনা থাকলে আমরা চার আনা চাই, ছয় আনা থাকলে আমরা তিন আনা চাই।
এদিকে তিস্তা চুক্তির পথে প্রধান বাধা যিনি, সেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শেখ হাসিনার সফরের সময় দিল্লিতে এসে তার সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানা যাচ্ছে।
নৈশভোজের আসরে তাদের দুজনের কথাবার্তা হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এবারে যদি চুক্তি সই না-ও হয়, এই সব আলোচনা অচিরেই চুক্তির পথ প্রশস্ত করে দেবে বলে বাংলাদেশ আশা করছে।
প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে কিনা-এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, দুটো দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কোনও নতুন বিষয় নয়, কিন্তু এখন সেটাকে একটা কাঠামোর ভেতর এনে কোন কোন খাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

এ জাতীয় আরও খবর