ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের রাস্তাগুলি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার দখলে!
---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের অধিকাংশ রাস্তায় এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার দখলে। রাস্তায়গুলোতে সকাল রাত পর্যন্ত তাদের দাপট আর দৌরাত্ন্যে সাধারণ পথচারীরা একেবারে দিশেহারা। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্হাকে বৃদ্রা আঙ্গুল দেখিয়ে তারা প্রতিটি ওলিগলি থেকে শুরু করে শহরমুখী আসা প্রত্যেকটি রাস্তায় দখল নিয়ে রেখেছে। তাতে করে ভেঙ্গে যাচ্ছে পুরো শহরের রাস্তা গুলো অন্যান্য গাড়ি গুলো চলাচল ও ব্যবহারের নিয়মকানুন। লাইসেন্স বিহীন এসব অটোরিক্সা বেশিরভাগ ড্রাইভারের বয়স ১৪ থেক ১৮মর্ধ্যে। তাই এসব অদক্ষ্য ড্রাইভাররা রাস্তায় গাড়ি চালানোর নিয়ম কানুন জানেনা একেবারেই। আর এরকম ড্রাইভারের সংখ্যা দেখা যায় শতকরা ৮০জন। তাই প্রতিনিয়ম ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।ঘটছে প্রানহানির মত ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কাউতলী থেকে কমাশিলের মোড় পর্যন্ত তাদের মূল সড়কে পাচঁ থেকে সাতটি অস্হায়ী ভাবে দাড়িয়ে লোকজন উঠানোর জন্য দাড়ানোর জায়গা করে নিয়েছে ।কাউতলী থেকে রিক্সা গুলো শহরখাল (ফকিরাপুল) সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি নিয়ম করে আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু মর্ধ্যে পাড়া দিয়ে গাড়িগুলো ঠিকই পোষ্ট অফিসের সামন এসে দাড়াচ্ছে তারপর একপা দুপা এগিয়ে মূল সড়ক অর্থাৎ মসজিদ রোডের মাথায় জড়ো হচ্ছে। সেখানে ২০/২৫ অটো রিক্সা বেশ দাপটের সাথে দাড়িঁয়ে পশ্চিম অঞ্চলের যাএী উঠাচ্ছে। আবার টেংকের পাড় আরেকটু ভিন্ন চিএ। সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিকরা রিক্সা গুলো আটকাচ্ছে ঠিকই কিন্তু শত শত মানুষের সামনে প্রকাশ্যে ড্রাইভাররা দায়িত্বরত ট্রাফিকদের হাতে ১০/২০টাকা দিয়ে ছুটে যাচ্ছে। তাই গাড়িগুলো কমাশিলের মোড় পর্যন্ত ঢুকে পড়ছে। কমাশিলের মোড়ে মেড্ডা ও ঘাটুরা মুখী সবসময় ২০/২৫ অটোরিক্সা লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকছে। সাথে রয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড । সবদিক দিয়ে বিবেচনা করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমস্ত পৌরশহর এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার দখলে। কথা ভুক্ত ভোগী পথচারী কামাল উদ্দিন, হাসান মিয়া ও রোকেয়া বেগমের সাথে, তাদের সবার মুখে এক কথা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের রাস্তাগুলোতে এখন আর চলাফেরার করার সুযোগ নেই। যে ভাবে রাস্তা গুলো অটোরিক্সা দখল করে রেখেছে কিছুদিন মর্ধ্যে শহর হয়ত অচল হয়ে যাবে। অচলতো একরকম হয়ে গেছে। আর যে ট্রাফিক পুলিশদের দেখভালের দায়িত্বে সমস্ত শহরের কিন্তুু তারা রিক্সা গুলো ২০/৩০টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে। রক্ষণ যদি বক্ষণ তবে কে দেখবে আমাদের দু:খ,বলারও জায়গা নেই।
এ ব্যাপারে কথা হয় জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপ্যাক্টর মুজিবুর রহমানের সাথে, তিনি বলেন, রাস্তার তুলনায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা বেশী হয়ে গেছে। মূল শহর যানজট মুক্ত রাখতে আমরা ফকিরাপুল থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত রোগী ব্যতীত অন্য কোন গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছিনা। প্রতিদিন ১৫/২০টি মামলা দিচ্ছি। আর দায়িত্বে পালনে কোন ট্রাফিক কন্সট্রাবল যদি কোন ধরণের অসাধু পথ অবলম্বন করে তাহলে অবশ্য তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হবে।