কাজী ফিরোজ রশীদের রিট খারিজ, মামলা চলতে বাধা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-৬ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আদালতে কাজী ফিরোজ রশীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।
এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন প্লট কেনায় অনিয়মের অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফিরোজ রশীদ হাইকোর্টে রিট করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর ধানমণ্ডির ২ নম্বর সড়কে এক বিঘা জমি দখল করার অভিযোগে মামলা করা হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে কাজী ফিরোজ রশীদ জমিটি ভোগদখল করে আসছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এই জমির মালিক ছিলেন কানাডার সাবেক হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলী। তিনি ১৯৭০ সালে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, ছেলে সৈয়দ মাহমুদ আলী ও মেয়ে সৈয়দা মাহমুদ আলীকে বাড়িসহ ওই জমি উইল করে দিয়ে যান এবং ওই বছর মে মাসে তাঁদের যৌথ নামে নামজারি হয়। এর কয়েক বছর পর কাজী ফিরোজ রশীদ ওই জমি অবৈধভাবে দখল করে ১৯৭৯ সালে ভুয়া দাতা বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী ও সাক্ষী কাজী আরিফুর রহমানকে সাজিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। জাল দলিল তৈরি করতে ওই সময়ের ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার এম আহমেদ তাঁকে সহযোগিতা করেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।