চাঁদে পা-ই রাখেননি আর্মস্ট্রং, বলছে এবার যুক্তরাষ্ট্র!
অনলাইন ডেস্ক : ৪৮ বছর আগে কি গোটা বিশ্বকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ধাপ্পা’টা দিয়েছিল আমেরিকা? মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ কি মানবসভ্যতাকে একেবারে বোকা বানাতেই ঘোষণা করেছিল নীল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিনরা চাঁদের মাটিতে নেমেছেন- ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই? সেই জুলাইয়ে কি আমাদের ‘এপ্রিল ফুল’ বানিয়েছিল নাসা? তাহলে কি ‘অ্যাপোলো-১১’ মহাকাশযানের দুই মহাকাশচারী আর্মস্ট্রং-অলড্রিনের ‘পদচিহ্ন’ আদৌ আঁকা হয়নি চাঁদের বুকে?
ঘোষণার বেশ কয়েকদিন পর মানবসভ্যতার সেই ‘প্রথম চন্দ্র-বিজয়’-এর ভিডিওটা কি ছিল তাহলে একেবারেই ‘ডক্টরড’? বানানো? হলিউডের কোনো স্টুডিওতে শ্যুট করা হয়েছিল বিশ্ববাসীকে ‘ঠকানোর সেই শতাব্দী সেরা চিত্রনাট্য’?
আর কেউ নন, কোনো ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’ (যারা নাসার ওই অভিযানকে বিশ্বাসই করেন না) নন। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেছে নেওয়া তার বিজ্ঞান-প্রযুক্তি উপদেষ্টা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ডাকসাইটে অধ্যাপক ডেভিড গেলার্নটারই সবার সামনে গত ২৪ জানুয়ারি কথাটা বলে দিলেন।
সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তিরিশের দশকের মধ্যেই কি আমরা (আমেরিকা) মঙ্গল গ্রহে পাঠাতে পারব মহাকাশচারীদের?’ ওই প্রশ্নে বিন্দুমাত্র কালক্ষেপ না করেই অধ্যাপক গেলার্নটার ঝটিতি জবাব দেন, ‘আমরা এখনো পর্যন্ত চাঁদেই যেতে পারলাম না! তাহলে আর কীভাবেই-বা তিরিশের দশকের মাঝামাঝি পাঠাতে পারব মঙ্গলে? খুবই হাস্যকর ভাবনা! আমার বলা উচিত কি না জানি না, এসব ওবামা প্রশাসনের ভাবনা ছিল। খুব হাস্যকর! খুব হাস্যকর!’
সূত্র: আনন্দবাজার