মোবাইল বা ল্যাপটপ কেনার আগে অনেকেই খেয়াল রাখেন ব্যাটারির ক্ষমতার দিকে। কারণ বেশি পাওয়ারের ব্যাটারি না হলে এক টানা কাজ করা অসম্ভব। তাই যাঁরা বেশির ভাগ দরকারী কাজ মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমেই করতে অভ্যস্ত, তাঁরা বেশি মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সম্পন্ন ল্যাপটপ বা মোবাইল কিনতে পছন্দ করেন। আবার ফোনকে সব সময় কর্মক্ষম রাখতে শক্তিশালী ব্যাটারি সম্পন্ন পাওয়ার ব্যাঙ্কও ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এত সব কিছু পরীক্ষা করে কেনার পরেও অনেকেই চার্জিং সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েন। তাই ব্যাটারির শক্তি জানার সঙ্গে সঙ্গেই জেনে নিন ব্যাটারি সম্বন্ধে এই তথ্যগুলোও।
স্লো চার্জিং : অন্য চার্জার বা অন্য তার দিয়ে আপনার ফোন বা ল্যাপটপটি চার্জ হতেই পারে। কিন্তু মনে রাখবেন অন্য চার্জার দিয়ে চার্জ করলে ওয়াটের পরিবর্তন হতে পারে। ফলে আপনার ফোন বা ল্যাপটপে চার্জ হবে খুব ধীরে।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক : হয়তো আপনি ১০ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনেছেন। আপনার ফোনে রয়েছে দু’হাজার
মিলি অ্যাম্পেয়ারের ব্যাটারি। ভাবছেন পাওয়ার ব্যাঙ্কে সম্পূর্ণ চার্জ থাকলে পাঁচ বার চার্জ দিতে পারবেন আপনার ফোনে? নাহ! অনেকের মধ্যেই এই ভুল ধারণা থাকে। কিন্তু পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিজেই কিছুটা পাওয়ার খরচ করে। ফলে সম্পূর্ণ চার্জ থাকা সত্ত্বেও পাওয়ার ব্যাঙ্কের পুরো চার্জ কাজে লাগানো সম্ভব নয়।
বেশি চার্জ নয় : ফোনে ২.০ ও ১.০ ব্যাটারির থেকে ৩.০ ব্যাটারি থাকাই শ্রেয়। ৩.০ ব্যাটারি থাকলে বেশি চার্জ দেওয়ার দরকার হয় না।
ফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে খেয়াল রাখবেন যাতে ব্যাটারি কখনও চার্জশূন্য না হয়ে যায়। আবার ওভার চার্জডও যেন না হয়ে যায়।
অনেক ল্যাপটপের পোর্ট সব সময় অন থাকে। অনেক সময় তাতে আলোও জ্বলতে থাকে। এর ফলে অতিরিক্ত চার্জ ক্ষয় হয়। তাই আপনার ল্যাপটপের জন্য একটি সফ্টঅয়্যার দরকার যা পোর্টকে শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় অন রাখবে।
শক্তিশালী ব্যাটারি : অনেক বেশি এমএএইচ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি মানেই কী তা বেশিক্ষণ কর্মক্ষম থাকবে? জেনে রাখা ভাল আগামী দিনের ফোনে হয়তো ৭৫০ থেকে ৯০০ এমএএইচ ব্যাটারি থাকবে। কিন্তু তা ৩-৪ দিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকবে। কী ভাবে? আসলে আগামী দিনে ফোনের স্ক্রিন, প্রসেসর-সহ সমস্ত ডিভাইসেই পাওয়ার কনজাম্পশন কমানো হচ্ছে।
সোলার চার্জার : প্রকৃতি বান্ধব চার্জার হিসাবে সোলার চার্জার খুবই ভাল। বিশেষত যারা ট্রেকিং বা এক্সপিডিশনে যান তাদের
ন্য এই চার্জার আদর্শ। কিন্তু মাথায় রাখবেন ইলেকট্রিক পাওয়ার ব্যাঙ্কের মতো দ্রুত চার্জ কোনও ভাবেই সোলার চার্জারে হওয়া সম্ভব নয়। যদি একটি ভাল সোলার চার্জার দিয়ে উজ্জ্বল সূর্যালোকে ফোন চার্জ দেন তাহলে এক ঘণ্টায় ১০-১৫ শতাংশ চার্জ হওয়া সম্ভব।
ব্যাটারি প্যাক না ব্যাটারি কেস : দু’টোরই নিজস্ব কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। ব্যাটারি প্যাক থাকলে আপনার ফোন থাকবে ছিমছাম। আবার এই প্যাকের মাধ্যমে সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়। তবে সেক্ষেত্রে আলাদা ভাবে পুরো প্যাকটিকে বহন করতে হয়। অন্যদিকে ব্যাটারি কেস থাকলে তাতে ফোন একটু ভারী হয় ঠিকই তবে অতিরিক্ত জিনিস বহনের ব্যাপার থাকে না। আবার ২-৩ দিন ফোনের ব্যাটারিও থাকবে কর্মক্ষম।
তার বিহীন চার্জিং : ওয়্যারলেস বা তার বিহীন চার্জিং সম্বন্ধে অনেকেরই ধারণা খুব একটা স্পষ্ট নয়। তবে বর্তমানে এই চার্জিং খুবই জনপ্রিয়। তার ছাড়া শুধুমাত্র একটি ম্যাট ব্যবহার করেই এক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি চার্জিং সম্ভব।