বাংলাদেশ ব্যাংকের পর আরও রিজার্ভ চুরি
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির পর বৈশ্বিক ব্যাংকিং লেনদেন ব্যবস্থায় সাইবার হামলার মাধ্যমে অন্যান্য ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি করেছে হ্যাকাররা। দি সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট)-এর এক কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য এবং ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো সুইফটের অপ্রকাশিত চিঠি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২ নভেম্বর সুইফটের পাওয়া ঐ চিঠির তথ্যানুসারে, লেনদেন ব্যবস্থায় হুমকি বাড়ার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে বৈশ্বিক লেনদেনের মেসেজিং নেটওয়ার্ক সুইফট। এসব সাইবার হামলা ও হ্যাকিংয়ের নতুন নতুন কৌশল থেকে প্রতীয়মান সুইফটের মেসেজিং ব্যবস্থায় দুর্বলতা বিদ্যমান।
সুইফট বলছে, সাইবার হামলার হুমকি বারবার ঘটে চলেছে, ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে এবং সূক্ষ্মভাবে তা করা হচ্ছে এবং তা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে গচ্ছিত অর্থ সুইফটের মাধ্যমে পরিশোধের ভুয়া নির্দেশপত্র পাঠিয়ে চুরি করে অজ্ঞাত হ্যাকাররা। সেই থেকে গত কয়েক মাসে অনেক বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং অর্থও চুরি হয়েছে। এফবিআই, ইন্টারপোল ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অর্থ চুরির তদন্ত করছে।
বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেওয়াকে এক সাক্ষাত্কারে সুইফটের কাস্টমার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের প্রধান স্টিফেন জিলডারদেল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির পর এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাইবার হামলা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচবার তারা অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংক সুইফটের মেসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করে থাকে। বেলজিয়ামভিত্তিক কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠান সুইফট এবং এর মাধ্যমে লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোই এর সদস্য।