নিউজ ডেস্ক : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গুলশানে হামলার পর গত নয় সপ্তাহে (৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) রাজধানীতে পুলিশ ও র্যাব ৫২ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ৪০ জন নব্য জেএমবির ও দুজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। অন্যরা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
এই সময়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তিনটি অভিযানে নিহত হয়েছে নব্য জেএমবির ১৩ জন গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি। এদের মধ্যে তামিম চৌধুরী ও মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের মতো দুজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, তামিম, জাহিদ এবং তার আগে ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নয়জন জঙ্গি নিহত এবং ব্লগার ও প্রকাশক হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ‘কমান্ডার’ শরিফুল ওরফে মুকুল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর জঙ্গিরা চাপে পড়ে গেছে।
লম্বা সময়ের জন্য জঙ্গি বিরোধী লড়াই চালানোর ধৈর্য, কৌশল, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে।বললেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক এম সাখাওয়াত হোসেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, গুলশানে হামলার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ শুরু করা হয়। ফলে অনেক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে অনেক জঙ্গি ধরা পড়ছে, অনেকে অভিযানে নিহত হয়েছে। পুলিশের অভিযানের মুখে জঙ্গিরা সংগঠিত হতে পারছে না।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জঙ্গিদের তৎপরতা পর্যালোচনা করলে এটা বোঝা যায় যে গুলশানে হামলার পর যে একটা ধাক্কা আসবে, এটা জঙ্গিদের হিসাবের মধ্যেই ছিল। কেউ মারা গেলে তার জায়গা কে নেবে, এগুলোও অনেকখানি ঠিক করা থাকে। তারা সব সময় একই মাত্রায় তৎপরতা চালায় না। তাদের হামলা কখনো সফল হবে, আবার বিফল হবে—এসব তাদের অনুমিত। তাই লম্বা সময়ের জন্য জঙ্গিবিরোধী লড়াই চালানোর ধৈর্য, কৌশল, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে।