নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র হজের ৫ দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় জমায়েত পবিত্র হজকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এরই মধ্যে মক্কা নগরীতে পৌঁছে গেছেন হাজীরা।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মেহমানদের স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মক্কা নগরীর মিনা উপত্যকা। তাঁবুর শহর বলে পরিচিত এই মিনাতেই আজ শনিবার অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৮ তারিখে (সৌদি সময়) হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান জড়ো হয়েছেন মিনায়। তারা আজ হজের প্রথম দিন সেখানে অবস্থান করবেন। কাল ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পরপরই হাজিরা সমবেত হবেন মক্কা থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে। আরাফাত ময়দানেই লাখো হাজির কণ্ঠে উচ্চারিত হবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা-শারিকালাকা লাব্বাইক’ ধ্বনি। প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগে এ আরাফাত ময়দানেই রাসূল (দ.) লক্ষাধিক সাহাবির সামনে ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
মক্কা ও মদিনায় হাজীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া হাজিদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখভালের জন্যও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সৌদি স্বাস্থ্য বিভাগ হজ উপলক্ষে মক্কা ও মদীনায় বিশেষ স্বাস্থ্য টিম এবং অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করেছে।
গতবছর মক্কার মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনা এবং জামারায় শয়তানকে পাথর মারতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৭১৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টিও স্মরণে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি সরকার। তবে সব ভুলে হাজীরা শুধু মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে উপস্থিতি দিতে এবং হজের আহকাম পালনে মনোনিবেশ করেছেন।
ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে মহানবী হযরত মুহম্মদ (দ.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে নিয়ে আরাফাতের ময়দানে যোগ দেন মুসলিমরা। সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এদের মধ্যে লক্ষাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন।