নিজস্ব প্রতিবেদক : টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় আজ় শনিবার ভোরে ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ফলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও কাজ করছে। এ ঘটনার আগে রানা প্লাজা ধসের সময় উদ্ধার কাজে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে অংশ নেয়।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
আর এদিকেওই কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের স্বজন ও সাধারণ মানুষ ফায়ার সার্ভিসের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, ‘আগুন লাগার সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে ঢুকেনি। তারা এখনো বাইরে থেকে শুধু পানি ছিটিয়ে যাচ্ছে’। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং ওই ভবনটি এখন ধসে পড়ছে। তাই এখনও ভবনের ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না’।
এদিকে বিস্ফোরণের ফলে ৪তলা ওই ভবনের প্রায় ৮০ ভাগ ধ্বসে পড়েছে।শুধুমাত্র একপাশে একটা অংশ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই অংশের একটা পানির ট্যাংকের মধ্যে ১০-১২ শ্রমিক আটকা রয়েছে বলে জানা গেছে। পানির ট্যাংকে আটকে থাকা এক শ্রমিক মোবাইল ফোনে তার স্বজনদের কাছে জানিয়েছেন, ‘আগুনে তীব্রতা থেকে বাঁচতে তারা ওই ট্যাংকিতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয় সেজন্য আকুতি জানান’।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেতর থেকে মানুষ ফোন করছে তাদের উদ্ধারের জন্য। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ভেতরে যাচ্ছে না। এজন্য সাধারণ জনগণ ভেতরে ঢুকেছে। ভেতরে আটকা পড়া এক শ্রমিক জ়ানিয়েছেন, ‘ভেতরে প্রায় ৩০০ শ্রমিক এখনও আটকা রয়েছেন’।
তবে সাধারণ মানুষ যেভাবে নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে অনিরাপদভাবে ভেতরে যাচ্ছে তাতে তারাও ফিরে আসবে কি না তা সেটা নিশ্চিতিভাবে বলা যাচ্ছে না।