নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের পদক প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ছোট করা হচ্ছে। আর দেশ ছোট করা মানে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে ছোট করা।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৯ম কারামুক্তি দিবস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা এম এম খালেদ সাইফুল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দুদু বলেন, জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাবে কে ভূষিত করেছিলনে? বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। সুতরাং ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ নন’ এ কথা অস্বীকার করলে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হবে।
নৌ- পরিবহন মন্ত্রী, সেতু ও সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, তারা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদে কোনো যানজট হবে না, রাস্তা ফাঁকা থাকবে। এ কথা বলে তিনি মানুষদের রাস্তায় নামিয়েছেন। সুতরাং সড়ক দুর্ঘটনায় যে কয়েক জন মানুষ মারা গেছে, সেই সব হত্যার দায় যোগাযোগ মন্ত্রীকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শাজাহান খানকে আমি বলতে চাই ঘাটগুলোর অবস্থা দেখুন। কি অবস্থা করে রেখেছেন। এ পর্যন্ত আপনি কোনো ঘাট ঠিক করেননি। নৌ- পরিবহন মন্ত্রী শুধু বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়া মুজিবুর হক বলতে চাই রেলের সময় ঠিক রাখতে পারছেন না। প্রক্ষান্তরে এদের কোন যোগ্যতাই নেই।
বিএনপির এ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের উপর যদি বিশ্বাস ও আস্থা থাকে তাহলে আসুন নির্বাচন করি। আসুন আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারন করি কে পুলিশ কর্মকর্তা হবে। আর নির্বাচনের সময় আপনরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও আমরা জিয়াউর রহমানের ছবি লাগাবো। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আপনারা যদি ক্ষমতায় যান তাহলে ফুলের মালা ও ঢাকার বিরিয়ানী খাইয়ে বরণ করে নেব।
খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাসীনরা জেলে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীকে সরকার জেলে নেয়ার চক্রান্ত করছে। তারা ভাবছে, খালেদা জিয়াকে জেলে নিলে বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। এটা ভাবলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করবেন। কারণ অচিরেই বাংলার প্রতিটি ঘর থেকেই জনতা সরকার বিরোধী আন্দোলনে মাঠে নামবে।