আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চার মাসের মেয়েকে হত্যা করে ঘরের একটি পুরনো এসির ভেতরে ঢুকিয়ে রাখেন মা নেহা গয়াল
চার মাসের মেয়েকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে ঘরের একটি পুরনো এসির ভেতরে ঢুকিয়ে রাখেন মা নেহা গয়াল। ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু কেন?
জানা গেছে, ১১ বছর আগে জয়পুরের সুভাষ নগরের বাসিন্দা রাকেশ গয়ালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একটি আট বছরের মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয়বার সন্তান সম্ভবা হন নেহা।
প্রথমবার মেয়ে হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাই দ্বিতীয়বার যাতে কন্যা সন্তান না হয় তার জন্য পুজোপাঠ থেকে শুরু করে তন্ত্র সাধনা- কত কী-ই না করেছিলেন নেহা। কিন্তু সেই কন্যা সন্তানই হয় তার।
পুলিশকে নেহা জানান, দ্বিতীয়বারও কন্যা সন্তান হওয়ায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি।
বাড়ির পরিচারিকাই ছোট মেয়ের দেখাশোনা করতেন। তার কাছেই বেশির ভাগ সময় থাকতো। কিন্তু ঘটনার দিন নিজের কাছে ছোট মেয়েকে নিয়ে শুয়েছিলেন নেহা।
পরদিন সকালে চিৎকার করে বাড়ির সকলকে জানান, মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির সর্বত্র এবং আশপাশেও খুঁজে দেখেন পরিবারের লোকেরা।
তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে চার মাসের ওই কন্যা সন্তানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন এসির ভেতর থেকে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ হয় বাড়ির পরিচারিকার ওপর। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সকলকে। শেষ পর্যন্ত সন্দেহের তীর যায় নেহার দিকে।
জেরা করার সময় নেহা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেন তিনি এ কাজ করলেন পুরো ঘটনাটা পুলিশকে জানান।
নেহাই যে তার মেয়েকে খুন করেছেন এটা মেনে নিতে পারছিলেন না তার স্বামী এবং পরিবারের লোকেরা। প্রতিবেশীরাও এই ঘটনায় অবাক হয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, পুত্র সন্তান না হওয়ায় সব সময়েই মনমরা হয়ে থাকতেন নেহা। কিন্তু এত বড় কাণ্ড ঘটাবেন কেউই ধারণা করতে পারেননি।
তথ্যসূত্র- এনডিটিভি ও আনন্দবাজার