স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ বার মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে জিতেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। তবে গত দুই বছরের পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ডের চেয়ে ঢের এগিয়ে মাশরাফিরা। শুধু ইংলিশরাই নয়, বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজও।
২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ৩৬ ওয়ানডে। এর মধ্যে ১৮ জয়, ১৭ পরাজয়। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ১.০৬। বাংলাদেশের ব্যাটিং গড় ৩১.৪৭, রান রেট ৫.৩১। বোলিং গড় ২৮.৮৪, ইকোনমি ৫.০৮। এই সময়ে ইংল্যান্ড ৬৬ ম্যাচের ৩০টি জিতেছে, হার ৩৩। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ০.৯১। ইংলিশদের ব্যাটিং গড় ৩৩.৯৬, রান রেট ৫.৭৩। বোলিং গড় ৩৪.৪২ আর ইকোনমি ৫.৫৯।
এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ওপরে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সবার ওপরে থাকা অস্ট্রেলিয়া ৫৭ ম্যাচের ৪১টিতে জিতেছে, হার ১৪। স্মিথদের জয়-পরাজয়ের অনুপাত ২.৯৩।
ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে গত দেড় বছরে বাংলাদেশ দুর্দান্ত সফল এক দল। ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে দেশের মাটিতে একটি ওয়ানডে সিরিজও হারেনি মাশরাফির দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সাফল্যও আশাবাদী করতে পারে বাংলাদেশকে। ওয়ানডেতে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়ে দুবারই হেরেছে ইংলিশরা। সর্বশেষ চার সাক্ষাতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে মাশরাফি-সাকিবরা।
পরিসংখ্যান তো আছেই, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারলে টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামতে পারবে বাংলাদেশ।
জানুয়ারি ২০১৪ থেকে শুরু করে দলগুলোর পারফরম্যান্স
দল | ওয়ানডে | জয় | পরাজয় | জয়-পরাজয়ের অনুপাত |
অস্ট্রেলিয়া | ৫৭ | ৪১ | ১৪ | ২.৯৩ |
নিউজিল্যান্ড | ৫৫ | ৩৫ | ১৬ | ২.১৯ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫৪ | ৩২ | ২০ | ১.৬০ |
ভারত | ৫৫ | ৩১ | ২১ | ১.৪৮ |
শ্রীলঙ্কা | ৭১ | ৩৫ | ৩২ | ১.০৯ |
বাংলাদেশ | ৩৬ | ১৮ | ১৭ | ১.০৬ |
ইংল্যান্ড | ৬৬ | ৩০ | ৩৩ | ০.৯১ |
আফগানিস্তান | ৪০ | ১৮ | ২১ | ০.৮৬ |
পাকিস্তান | ৫১ | ২০ | ৩০ | ০.৬৭ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৩৫ | ১৪ | ২১ | ০.৬৭ |
জিম্বাবুয়ে | ৫৩ | ১২ | ৪০ | ০.৩০ |
তথ্যসূত্র: ইএসপিএনক্রিকইনফো।