১২ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ইং, সোমবার ২৮শে ভাদ্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


উত্তর কোরিয়ার পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা কতটা ক্ষমতাসম্পন্ন


Amaderbrahmanbaria.com : - ০৯.০৯.২০১৬

উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। এরপরই দেশটিতে ৫.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ওই পরীক্ষার কারণে এ কৃত্রিম ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে একের পর এক উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আসলে কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়েই নানা প্রশ্ন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বলছে, যে এলাকায় ওই ভূমিকম্প হয়েছে সেটা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা ক্ষেত্র।
প্রশ্ন হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা কতটা ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তার প্রভাব কী হতে পারে? দেশটির নেতা কিম জং উনের দাবি, তারা সর্বশেষ এইচ-বোমা বা হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালিয়ছে। এ বোমায় পারমাণবিক উপাদান রয়েছে। এ অস্ত্রের বিস্তৃতি ৬-৮ কিলোটন টিএনটি এর সমতুল্য। এ থেকেই এটাই স্পষ্ট যে এর আগে চালানো যে কোনো অস্ত্রের চেয়ে এটা শক্তিশালী।
উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়া ২০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম ৩০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ধরনের পরীক্ষা চালালে তা দেশটির অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তারপরও তারা থেমে নেই।
উনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তার দেশে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ আগ্রাসন প্রতিহত করতেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়ার পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা ওই অঞ্চলে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এমনটাই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দক্ষিণ কোরিয়া এতদিন চুপই ছিল। তারা তিন বছর আগে পারমিাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়া সবল কোনো রাষ্ট্র নয়। ২০১০ সালের পর তারা সেভাবে কোনো দেশে হামলাও চালায়নি। এ ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে তারা প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই চাইছে। একই সঙ্গে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
গত ডিসেম্বরে কিম জং উন দাবি করেছিলেন, তার বিজ্ঞানীরা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে বসানো যায় এমন হাইড্রোজেন বোমা বানাচ্ছে। তবে ৬ জানুয়ারি তারা যে হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালালো সেটা খুব বেশি কাজের না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কিম উনের পরমাণু অস্ত্র মজুদের সংখ্যা বাড়ানোর যে ইচ্ছা আছে তা পূরণ করতেই বিজ্ঞানীরা একের পর এক অস্ত্র তৈরি করছে। এর বাইরে আর কিছু নয়।
কয়েক মাসে আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা দেয়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলা করতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত সিস্টেম ‘টার্মিনাল হাই অ্যালটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স’ (টিএইচএএডি) গড়ে তুলবে। উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীন তাদের এমন পদক্ষেপের বিরোধিতার করে। তবে মিত্রকে উসকানিমূলক কাজ থেকে বিরত রাখতেও পারেনি চীন।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ‘কৌশলগত ধৈর্য্য’ দেখানো নীতি নিয়েছে। উত্তর কোরিয়া যতই উসকানিমূলক আচরণ করুক না কেন তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটু কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় এসেছে। কারণ উত্তর কোরিয়ার কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্র ও এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। পাশপাশি দক্ষিণ কোরিয়াকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে পিয়ংইয়ংয়র ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলা করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করবে কিনা। কারণ উত্তর কোরিয়া এখনও তাদের ওপর হামলা চালায়নি। তবে তারা যেভাবে পরমাণু অস্ত্র বাড়াচ্ছে তাতে ভবিষ্যতেও যে একই ধরনের আচরণ করবে তা বলা যায় না।
সূত্র: বিবিসি।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close