শুক্রবার, ১৪ই জুলাই, ২০১৭ ইং ৩০শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা  কারাগারের ভিতরে-বাহিরে  অন্য চিএ

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৮, ২০১৬

---

1আমিরজাদা চৌধুরী : ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শহরের কয়েক কিমি: দূরর্ত্বে  কুমিল্লা-সিলেট মহা সড়কের পাশে  ঊশীউরা নামক স্হানে ২০০৯ সালে ১৭ একর জমির উপর খোলামেলা পরিবেশে  নির্মিত হয় ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা কারাগার। এটি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাবা সাহারা খাতুন।

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা কারাগার নিয়ে কারা অর্ভন্তরে পরিচালনা নিয়ে ছিল বিভিন্ন মহলের কাছে দুর্নীতির  অনেক খতিয়ান । বিভিন্ন মামলার আসামী জামিনে বেড়িয়ে আসার পর শোনা যেত ব্রাহ্মণবাড়ীয়া কারাগার নিয়ে দূর্ণীতির জলন্ত বর্ক্তব্য।  আসামী জেলে ঢুকা থেকে কারাভোগ তারপর জামিনে বের হয়ে আসা পর্যন্ত্য সবখানে প্রায় আসামী দের করা হত বেচাকেনা । এই দূর্ণীতির চিএ ধরে কয়েক মাস আগে কিছু সংবাদ পএে লেখা -লেখি হয় কিছুটা খোলামেলা ভাবেই। যা অনেকের নজরে পড়ে, এই রির্পোটি নিয়ে আলোচনা হয় ব্যাপক। পাশাপাশি জেল সুপার সুপারের কর্মকান্ডের প্রশংসা ও ছড়িয়ে পড়ে। কারাগারে পরিচিত চেহারা বদলে দিতে তিনি উৎদোগ নিয়েছেন।

3কারাগারের ভিতর – বাহিরে  করা হয়েছে বিভিন্ন ধরেনর ফলের গাছ, করা হয়েছে কয়েক একর সবজি বাগান। যা প্রতিদিনই উৎপাদিত টাট্কা সবজি খাওয়ানো হচ্ছে কারা ভোগের বিভিন্ন আসামী দের। যা থেকে সরকারের আয় হচ্ছে বিরাট রাজস্ব। জেল সুপারের এই রকম উৎদোগ বেশ  প্রশংসনীয় মনে হয়েছে অনেক ইলেট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক দের কাছে, তুলে ধরা হয়েছে তা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে, প্রথম সারির কয়েকটি ওন লাইন পএিকায়। যা দেশের অনেক সচেতন ও সুধিজনের নজর কেরেছে।

কথা হয়  জামিনে মুক্তি পাওয়া মামুনের সাথে সে জানায়, আগের বেহাল অব্যস্তা থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া কারাগারের ভিতর এখন অনেক উন্নতি হয়েছে।  আমরা স্বাভাবিক ভাবে  ভাল খাবার পেয়েছি। ভিতরে আসামীদের চলাফেরা করার জন্য  পরিবেশ যর্থেষ্ঠ ভাল। বিভিন্ন ফলের বাগানের পাশে আসামী দের জন্য বসার পর্যাপ্ত্য   জায়গার ব্যবস্তা করা আছে।  (পিসি)  বইয়ে জমাকৃত টাকা দিয়ে সকাল ৬ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত্য কেন্টিন থেকে নিজের ইচ্ছে মত সব কিছু কিনে খাওয়া যাই। কেন্টিনের রান্নার ব্যবস্তাপনা  অনেক ভাল।  এতে কোন ধরেনর ছয়-নয় চোখে পড়েনি। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো জেল সুপার মহোদয়, কারাগার জেলার মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন।আবার কেহ ভিতরে মাদক ধরে দিতে পারলে তাকে পুরষ্কৃত করা  হবে ঘোষণা আছে।

2এই ব্যাপারে জেল সুপার নূরুন্নবী ভূইয়া বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া কারাগারে ১৪ মাস যাবৎত দায়ির্ত্বে আছি, আমি এই কারাগারের আসার পর থেকে অমূল পরিবর্তন এনেছি।বর্তমানে এই কারাগারে ১০২১ জন আসামী রয়েছে, যার মর্ধ্যে ৪৯ জন মহিলা।তাদের খাবারের মান, চিৎকিসা সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা, যা আপনারা  আসামীদের সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন। আমি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া কারাগার কে ভিতর- বাহিরে ফুল- ফলের বাগান তৈরী করেছি, ভিতরে  দূর্নীতি ও মাদক সেবন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন করেছি “ইনশাল্লা”।
কারাগারের জেলার  আব্দুল বারেক জানান, আমার জেল সুপার মহোদয়ের সহযোগিতায় আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারগার কে দূর্ণীতি মুক্ত করতে  পেরেছি।বাহির থেকে  ভিতরে নেশা জাতীয় দ্রব্য ঢুকা শতভাগ নিয়ন্ত্রন করতে সহ্মম হয়েছি। অনেকে জেল খানা থেকে বেড়িয়ে আক্রোশ মূলক অনেক মিথ্যা কথা আমাদের সর্ম্পকে বানিয়ে বলে যা আমাদের কখনও তা কাম্য নয়। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

এ জাতীয় আরও খবর