বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন
---
ভ্যালেন্টাইন’স উইকের দ্বিতীয় দিন আজ। মানে প্রপোজ ডে। বিয়ের জন্য যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করার জন্য অপেক্ষা করুন সঠিক সময়ের, সঠিক সম্পর্কের। জেনে নিন প্রপোজ করার আগে ঠিক কতটা অপেক্ষা করবেন, সম্পর্কের কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক- আপনাদের সম্পর্কে শান্তি রয়েছে? নাকি প্রায়শই সংশয়, চিন্তা দেখা দেয় মনে? যদি সংশয় থাকে তাহলে অবশ্যই বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে ভাবুন। অনেক সময় মনে হয় বিয়ে হলে সংশয় দূর হবে। কিন্তু বাস্তবে হয় ঠিক তার বিপরীত। এমন অবস্থায় বিয়ের ভিত কখনই মজবুত হয় না। যদি একে অপরের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হন তবে চোখ বুজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন।
বিয়ের ব্যপারে আলোচনা- আপনারা কি বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করেন? ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেন? যদি না করে থাকেন তাহলে একে অপরকে বিয়ের প্রপোজাল দেওয়ার আগে চিন্তা করে দেখুন। সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা সহজ ভাবেই আসবে।
অস্থির সম্পর্ক- আপনাদের সম্পর্ক কি বরাবর স্থিতিশীল ছিল? নাকি ব্রেক আপ-পূণর্মিলনের মধ্যে দিয়ে গেছে? যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু বিয়ের পরও এই ধারা চলতে থাকবে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা সবচেয়ে জরুরি।
আগের সম্পর্ক- আপানারা দু’জনেই আগের সম্পর্ক থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে এসেছেন তো? অনেক সময়ই জীবনে নতুন সম্পর্ক এলেও আমরা আগের ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না। বিয়ের ভিত শক্ত করতে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। যদি এখনও আগের সম্পর্ক আপানকে বা আপনার সঙ্গীকে নাড়া দেয় তাহলে অপেক্ষা করুন। এখনও বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় আসেনি।
দায়িত্ব- বিয়ে মানে নতুন দায়িত্ব। ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা, স্কুল জীবন, কলেজ জীবনে আমরা বাবা, মায়ের ছত্রছায়াতে থাকতেই অভ্যস্থ থাকি। অনেকে এই অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না বা চান না বলে বিবাহিত জীবনে সমস্যা শুরু হয়। তাই বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে দু’জনেই ভেবে দেখুন, আলোচনা করুন যে আপনারা নিজেদের এবং একে অপরের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কিনা।
আর্থিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা- বিয়ের সঙ্গে যে দায়িত্বগুলো জুড়ে রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় আর্থিক দায়িত্ব। বিয়ের আগে অনেকেরই খরচের হিসেব থাকে না, আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা থাকে না। ফলে আর্থিক স্থিতিশীলতা তেমন ভাবে থাকে না। বিয়ের আগে নিজের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা, এবং পরিকল্পনা মাফিক গুছিয়ে নিয়ে প্রয়োজন। তাই পরস্পরের আর্থিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করুন। কতটা আর্থিক দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত, সে বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। তারপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন।