g কসবায় গৃহবধূকে অপহরণের পর গণধর্ষণ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ২৫শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ১০ই ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কসবায় গৃহবধূকে অপহরণের পর গণধর্ষণ

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৮, ২০১৪

---

rapবার্তা কক্ষঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক গৃহবধূকে অপহরণের পর গণধর্ষণশেষে হাত-পা-মুখ বেধেঁ রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুত আহতাবস্থায় পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে দুইজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দু’জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষন ও সহায়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতা গৃহবধূকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও গৃহবধূ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে গৃহবধূর স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার একটি মামলায় গত দুই বছর ধরে জেলহাজতে রয়েছেন। ইতিপূর্বে তার স্বামী জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা ইউনিয়নের কোনাউর গ্রামের আবুল বাশারের পুত্র জহিরুল হক (৩৫) ও নাটঘর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের কফিল উদ্দিনের পুত্র ফারুক মিয়ার(৩৭) সাথে ঢাকায় বেকারীর মালামাল পাইকারি দরে বিক্রি করতেন। মাঝেমধ্যে ঢাকায় যাবার সুবাধে ফারুক ও জহিরের সাথে তার পরিচয় হয়। স্বামী গ্রেফতার হবার পর থেকে ওই গৃহবধূ তার মায়ের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বসবাস করতেন। ফারুক প্রায়শই জেলা কারাগারে গিয়ে গৃহবধূর স্বামীর সাথে দেখা করতেন। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে দেখাশোনার অনুমতি নেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৬জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় জহিরুল হক ও ফারুক মিয়া ওই গৃহবধূকে জেলা শহরের কাউতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাসে উঠান। মাইক্রোতে তুলেই তার হাত-মুখ বেধেঁ ফেলে। বাধাঁ দিতে গেলে মারধর করতে থাকে। মাইক্রোটি ঢাকার দিকে না গিয়ে কুমিল্লামুখী হয়ে কিছুদূর যাবার পরই আরো দুইজন লোক উঠে। মাইক্রোটিকে কোন এক নির্জন এলাকায় নিয়ে ওই চারজন পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। রাত অনুমান ১০টার দিকে কুমিল্ল¬া-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের তিনলাখপীর এলাকায় হাত-পা-মুখ বাধাঁবস্থায় ধর্ষণকারীরা ফেলে যায়। মহাসড়কে টহলরত পুলিশ মহিলাটিকে দেখে গুরুতর আহতাঅবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে অপহরণ, গণধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগ এনে শনিবার সকালে জহিরুল হক ও ফারুকের  নামোল্লেখসহ  অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা করার পর পুলিশ ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ বলেন, ‘মাইক্রোতে তুলেই তার মুখ ও হাত-পা বেধেঁ ফেলে। বাধাঁ দিতে গেলে তাকে মারধর করতে থাকে। পরে নির্জন এক জায়গায় নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যায়। ধর্ষণকারীরা আমার স্বামীর বন্ধু। আমার স্বামী জেলহাজতে থাকায় তারা এ সুযোগটি গ্রহণ করেছে।’
কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আহাদুজ্জামান বলেন, ‘হাত-পা-মুখ বাধাঁবস্থায় মহাসড়ক থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করার পর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এ জাতীয় আরও খবর