একটু ভালোবাসায় বাঁচতে পারে তামিমের জীবন!
দশ বছরের শিশু তামিম। ৫ বছর বয়স থেকে কিডনী জনিত রোগে ভুগছে। ৪ বছর আগে অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে হয়ে যায় তামিমের। বর্তমানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে তামিম।
তামিমের বাবা রুবেল সরদার স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের কর্মচারী আর মা দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে মারা গেছে। বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাশার এলাকার পূর্ব আমিরাবাদ গ্রামে। স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তামিমকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে স্বজনরা। বিভিন্ন পরীক্ষা ও ঔষধ কিনতে সে টাকা ফুরিয়ে গেলে তামিমের চিকিৎসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ঔষধ বন্ধ করে দেয়ায় কিডনী সমস্যা থেকে শিশুটির শারীরিক আরো সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিরুপনের জন্য সিটিস্ক্যান, বায়োপসিসহ বড় কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে অপারেশন এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শিশুর বাবা বলেন, চিকিৎসকরা যে পরীক্ষা করতে দিয়েছেন, তা করতে ১৭ হাজার টাকা প্রয়োজন। আমরা যে টাকা নিয়ে এসেছি তা শেষ হয়ে গেছে, এখন আমাদের কাছে খাওয়ার টাকাও নেই। পরীক্ষা করাবো কি করে ?
তিনি আরো জানান, ৪ বছর আগে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ওর কিডনীতে সমস্যা ধরা পরে। তখন ১৮ বছর পর্যন্ত চিকিৎসা করাতে বলেছিল ডাক্তাররা। ১ বছর করে আর টাকার অভাবে করাতে পারি নাই। আর ওর মায়ের ক্যান্সার ধরা পরে, টাকার অভাবে তেমন চিকিৎসাও করাতে পারি নাই, ভুগে মারা গেছে।
বাচ্চার চিকিৎসা করানোর মত সামর্থ নেই জানিয়ে অসহায় এই বাবা দেশের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। সাহায্য পেলে শিশু তামিমের চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে জানান তিনি।