সীরাত: যে নামে দাগ নেই, কলঙ্ক নেই!
ইসলাম ডেস্ক।। আমাদের প্রিয় নবী, মহানবী (সা.)-এর নাম ‘মুহাম্মদ’ রেখেছেন তার দাদা আবদুল মুত্তালিব। আবদুল মুত্তালিবের অন্তরে আল্লাহ তায়ালা ঢেলে দিলেন যে, এই শিশুর নাম হবে মুহাম্মদ। মহানবী (সা.)-এর আগেও আরো অনেক নবী দুনিয়ায় এসেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ কয়েকজনের নাম দেখুন-
হজরত আদম (আ.)। আদম মানে গমের রং।
হজরত নুহ (আ.)। নুহ মানে বিলাপকারী।
হজরত জাকারিয়া (আ.)। জাকারিয়া মানে উপদেশদাতা।
হজরত ইদ্রিস (আ.)। ইদ্রিস মানে পাঠদানকারী।
হজরত ইব্রাহিম (আ.)। ইব্রাহিম মানে মর্যাদাবান।
হজরত ইসমাঈল (আ.)। ইসমাঈল মানে আল্লাহর শ্রবণকৃত দোয়া।
হজরত ইউসুফ (আ.)। ইউসুফ মানে চিন্তামগ্ন।
হজরত ইয়াকুব (আ.)। ইয়াকুব মানে পেছনে আগমনকারী।
হজরত আইয়ুব (আ.)। আইয়ুব মানে প্রত্যাবর্তনকারী।
হজরত মুসা (আ.)। মুসা মানে ক্ষুর।
হজরত ঈসা (আ.)। ঈসা মানে জিহাদকারী।
এর বিপরীতে আরেকটি নাম আছে। সেই নাম হলো মুহাম্মদ। মুহাম্মদ মানে বারবার প্রশংসা করেও যাঁর প্রশংসা শেষ হয় না। তিনি আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। গোটা সৃষ্টিজগৎ তাঁর প্রশংসা করে। তিনি আমাদের নবী বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)
মহানবী (সা.)-এর আরো একটি নাম আছে। সে নাম হলো আহমাদ। আসমানবাসীর কাছে তিনি আহমাদ নামে পরিচিত। আর পৃথিবীবাসীর কাছে তিনি মুহাম্মদ নামে পরিচিত। আহমাদ মানে অধিক প্রশংসাকারী। অধিক ইবাদতকারী। মহানবী (সা.) যেহেতু আল্লাহর অধিক ইবাদত করতেন, তাঁর প্রশংসা করতেন, সে জন্য তাঁর নাম রাখা হয়েছে আহমাদ।
আরবি ভাষায় ২৯টি হরফ আছে। এগুলোর মধ্যে কোনোটির মধ্যে নুকতা বা বিন্দু আছে। আর কোনোটিতে নেই। কিন্তু মুহাম্মদ ও আহমাদ শব্দ দুটির মধ্যে কোনো নুকতা নেই। তার মানে, এ দুটি শব্দের মধ্যে কোনো দাগ নেই, কলঙ্ক নেই, স্পট নেই। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন- মহানবী (সা.)-এর নামের মধ্যে যেমন বিন্দু নেই, দাগ নেই, ঠিক তেমনি তাঁর চরিত্রের মধ্যে কোনো দাগ নেই, কলঙ্ক নেই, স্পট নেই।