এক শিকারি একবার একটা পাখি ধরেছিল। সে পাখি সাধারণ পাখি না। ৭০টা ভাষায় কথা বলতে পারে এবং অসামান্য জ্ঞানী ছিল……
এক শিকারি একবার একটা পাখি ধরেছিল। সে পাখি সাধারণ পাখি না। ৭০টা ভাষায় কথা বলতে পারে এবং অসামান্য জ্ঞানী।
তাই শিকারির হাতে ধরা পড়ে সে মিনতি করল — “আমায় ছেড়ে দাও। আমি তোমায় মূল্যবান ৩টে উপদেশ দেব। যা তোমার জীবনে চলার পথ সহজ করে দেবে।” শিকারি একটু ভেবেচিন্তে রাজি হল। ৩টে মূল্যবান উপদেশের বদলে জ্ঞানী পাখির স্বাধীনতা।
যে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, তার জন্যে শোক কোরো না।
অন্যের মুখে শুনে অসম্ভব কিছু বিশ্বাস কোরো না।
যা তোমার নাগালের বাইরে, তা পেতে চেষ্টা কোরো না।
পাখির এই ৩টে উপদেশ শুনে শিকারি তাকে মুক্তি দিল। ছাড়া পেয়ে পাখিটি উড়ে গিয়ে বসল একটা উঁচু গাছের ডালে। সেখান থেকে সে চেঁচিয়ে বলল — “বোকা লোক।
তুমি আমার মুখের কথায় ভুলে আমায় ছেড়ে দিলে। কিন্তু আমায় ছেড়ে না দিলে জানতে পারতে আমার শরীরের মধ্যে বহুমূল্য একটা মণি আছে, যা আমার জ্ঞানের উৎস।”
পাখির কথা শুনে শিকারি মাথা চাপড়াতে লাগল। বুদ্ধি করে পাখিটা বন্দি করে রাখলে ৩টে উপদেশের বদলে একটা দামী রত্ন পেতে পারত। নিজের বোকামিতে সে পাখিটার ওপর রেগে গিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠল — “ধূর্ত পাখি! তোকে ধরে ঐ মণি আমি নেবই নেব।”
উঁচু গাছটার যে ডালে পাখিটা বসে ছিল শিকারি সেখানে চড়তে গেল।
কিন্তু সে গাছের সে ডাল ছিল পলকা। পাখির ভার সহ্য করতে পারে, মানুষের নয়। তাই শিকারি ডাল ভেঙে উঁচু গাছ থেকে পড়ে পা ভাঙল। আর জ্ঞানী পাখি উড়ে গেল নিজের আস্তানার দিকে।