বিয়ের সংজ্ঞা নির্ধারণে গণভোট
অনলাইন ডেস্ক : একজন পুরুষ ও একজন নারীর বিয়েই শুধু বৈধ বিয়ে—এই প্রস্তাবের ওপর হ্যাঁ-না ভোট হচ্ছে রুমানিয়ায়।
গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার দুই দিন ধরে এই গণভোটের পরিণতিতে রুমানিয়ার সংবিধানে বিয়ে ও পরিবারের সংজ্ঞা বদলে যাবে।
প্রস্তাবের সমর্থকরা বলছে, তাদের দেশের পরিবারের ‘ঐতিহ্য’ বজায় রাখতে সংবিধানে বিয়ের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা জরুরি। কিন্তু প্রস্তাবের বিপক্ষের লোকজন বলছে, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়লে রুমানিয়ায় সমলিঙ্গের দম্পতি, অবিবাহিত মা-বাবা এবং তাঁদের সন্তানদের ওপর অবিচার হবে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বাড়বে।
রুমানিয়ায় সমলিঙ্গের নারী-পুরুষের বিয়ে বা দম্পতি হিসেবে তাদের একত্র বসবাস স্বীকৃত নয়। এই গণভোটের ফলে তা বদলও হবে না। কিন্তু সংবিধানে বৈধ বিয়ে ও পরিবারের সংজ্ঞা স্পষ্ট হবে। রুমানিয়ার সংবিধানের ৪৮ ধারায় বলা আছে—‘স্বেচ্ছায় দুই সঙ্গীর মধ্যে বিবাহবন্ধনই পরিবারের ভিত্তি।’ ওই দুই সঙ্গীকে অবশ্যই নারী ও পুরুষ হতে হবে—বিষয়টি ততটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু এখন হ্যাঁ ভোট জিতলে সংবিধানের ভাষা হবে, ‘একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে বিয়েই হবে পরিবারের ভিত্তি।’
কোয়ালিশন ফর ফ্যামিলি নামে যে সংগঠনটি হ্যাঁ ভোটের পক্ষে প্রচার চালিয়েছে, তার সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী মিহাই গিওর্গিও বলেন, ‘বিয়ে যে শুধু একজন নারী ও পুরুষের মধ্যেই হতে পারে, এ বিষয়টি আমরা সংবিধানের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই।’ রুমানিয়ার সাধারণ আইনে এখনো পরিবার বা বিয়ের সেই সংজ্ঞাই রয়েছে, কিন্তু কিছু মানুষ সেটি সংবিধানে ঢুকিয়ে পোক্ত করতে চাইছে। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিরোধীরা বলছে, পক্ষে ভোট পড়লে রুমানিয়ায় সমলিঙ্গের দম্পতি, অবিবাহিত মা-বাবা ও তাঁদের সন্তানদের ওপর অবিচার হবে, তাদের নাগরিক ও আর্থ-সামাজিক অধিকার হুমকিতে পড়বে। ২০১০ সাল থেকে রুমানিয়ায় সমকামিতা আর কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু সমকামী দম্পতিদের কোনো অধিকার নেই। সূত্র : বিবিসি।