নোবেলজয়ী নাদিয়া শোনালেন যৌনদাসী থাকাকালে নৃশংসতার সেই গল্প
ডেস্ক রিপোর্ট ।। জঙ্গি সংগঠন আইএসএ’র যৌনদাসী থেকে হয়ে উঠেছিলেন ইয়াজিদি জনগণের মুক্তির প্রতীক। ধর্ষণকে যেন যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা না হয় তার জন্য লড়াই করার স্বীকৃতি হিসেবে শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পান ২৫ বছরের নাদিয়া। নোবেল জয়ের পর নাদিয়া বলেন, ‘এই সমর্থন ও সম্মান আমি ইয়াজিদি, ইরাকি ও কুর্দিসহ বিশ্বের সকল দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও যৌন সহিংসতার শিকার মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করছি।’
নোবেল কমিটি জানায়, নিজের সঙ্গে হওয়া নৃশংসতা মোকাবেলা করে অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দেয়া ছাড়াও অন্যান্যদের জেগে ওঠার পথ দেখিয়েছেন নাদিয়া।
দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যৌনদাসী থাকাকালে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে নাদিয়া বলেন, ‘সেখানে নারীদের সঙ্গে পশুর মত আচরণ করা হত, নিজেদের ভোগের জন্য হেন কাজ নেই যা তারা করত না। হায়নার মত আমাদের শরীরে স্পর্শ করত। একের পর এক ধর্ষণ করা হত বন্দি নারীদের।’ দাসবাজারের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে তিনি জানান, ‘বন্দি কামরায় একত্রে জড়ো করা নারীরা যে কুমারী তা নিয়ে দর কষাকষি করা হত। এটি ছিল ভয়ঙ্কর।’
২০১৪ সালে আইসএস যখন উত্তর ইরাকের সিনজার আক্রমণ করে তখন নিজের বোনসহ অন্যান্যদের সঙ্গে যৌনদাসী হিসেবে বন্দি হন নাদিয়া। আইএসএ’র কাছ থেকে পালানোর পর ২০১৫ সালে শরণার্থী হিসেবে জার্মানিতে আসেন। লড়াই করে যান নিখোঁজ থাকা আরো ৩ হাজার ইয়াজেদি নারীদের জন্য। ২০১৬ সালে ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক শাখারভ পুরস্কার পান নাদিয়া। একই বছর জাতিসংঘের মানবপাচার প্রতিরোধ সংস্থার (ইএনওডিসি) এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালে মানবাধিকার বিষয়ক ব্রিটিশ আইনজীবী আমাল ক্লুনির সহায়তায় প্রকাশ করেন বই ‘দ্য লাস্ট গার্ল’। ডেইলি মেইল