কবর থেকে জবাব এলো ভাই! আমি পৃথিবীতে হাফেযে কুরআন ছিলাম।এতো অধিক পরিমান তিলাওয়াত করেছি যে,
এক বুযুর্গ কবরস্থানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন আপন মনে হটাৎ গোরস্তানে কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পেলেন। সামনে পিছে তাকিয়ে কাউকে খুঁজে পেলেন না তিলাওয়াত চলছে তো চলছেই। বুযুর্গ উপায়ন্তর না দেখে চোখ বুঝে মোরাকাবায় বসলেন। দেখতে পেলেন,
একজন ব্যক্তি কবরে বসে কুরআন তিলাওয়াত করছেন। বুযুর্গ কবরের ভিতর বসে তিলাওয়াতের হেতু জানতে চাইলেন। কবর থেকে জবাব এলো
ভাই! আমি… পৃথিবীতে হাফেযে কুরআন ছিলাম।এতো অধিক পরিমান তিলাওয়াত করেছি যে, কুরআনের স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে।
তাই মৃত্যূর পর আল্লাহর কাছে তিলাওয়াতের অনুমতি প্রার্থনা করলাম। আল্লাহ অনুমোদন দিলেন। মৃত্যূ হতে আজ অবধি পাঁচ হাজার খতম তিলাওয়াত করেছি। শোনা মাত্রই উপরের বুযুর্গ বলে উঠলেন “সুবহানাল্লাহ“।
কবরের ব্যক্তি বললেন, ভাই! আমার পাঁচ হাজার খতম তিলাওয়াত আপনি নিয়ে যান। আপনার সুবহানাল্লাহর সওয়াব আমাকে দেন। কেননা,
আমি এখন প্রতিদান জগতে অবস্থান করছি। তাই আমার বর্তমান আমলের কোন মূল্য নাই। আপনি আমলের জগতে আছেন। আমার পাঁচ
হাজার খতমের চেয়েও আপনার সুবহানাল্লার মূল্য অনেক বেশী।
বন্ধুরা ! আমি, আপনি, আমরা এখন আমলের জগতে অবস্থান করছি। আমাদের আজকের আমলই আগামী দিনের পাথেয়। আল্লাহ আমাদের আমল করার তৌফিক দিক।….আমিন