ঠিক কি পরিমাণ হীন মানসিকতায় আচ্ছন্ন হলে আপনি…
ক্রিকেটার তাসকিনের সন্তান যখন পৃথিবীর আলো দেখে তার প্রথম চিৎকার দেয়, ঠিক সেই মুহূর্তে জঘণ্য ভাষার প্রয়োগ ঘটিয়ে তার আগমনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেন আপনার এবং আমার মাঝে অবস্থান করা কেউ কেউ!
পিতৃত্বের মত পবিত্র অনুভূতিকে বাদ দিয়ে তখন তাসকিনকে তার সন্তান কিভাবে পৃথিবীতে এলো সেই ব্যাখ্যা আপনাদেরকে দিতে হয়!
ঠিক কি পরিমাণ হীন মানসিকতায় আচ্ছন্ন হলে আপনি নবজাতক সন্তান ও তার পিতা-মাতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন- আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
মাত্র কয়েকদিন আগে ক্রিকেটার লিটন দাস আপনার প্রাণের ভাই হয়ে গেল! আপনাদের ভাষ্য অনুসারে, তিনি সঠিক সময়ে একজন দেশপ্রেমিক ক্রিকেটাররূপে আবির্ভূত হয়েছেন! আপনারাই আবার তাকে নিয়ে চরম গর্ববোধও করেছেন। অথচ আপনার এই ভাইটি যখন তার নিজ উৎসবের শুভেচ্ছা জানালেন তখনি আপনি আবার স্বরূপে আবির্ভূত হলেন। করলেন তার গোষ্ঠী উদ্ধার! এখন আপনার প্রাণের ভাই হয়ে গেল শত্রু!
সবসময় তাহলে আপনি আমিই ঠিক করে দেবো কাকে কিভাবে বলতে হবে এবং চলতে হবে? সকলের সিদ্ধান্ত তাহলে আমরাই দিয়ে দেবো! একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে বলছি, বাহ্…!
মাত্র দুটি সাম্প্রতিক উদাহরণ দিয়ে আমাদের ঔদার্য প্রমাণ করলাম! এরূপ উদাহরণ আমাদের সমাজে অগণিত।
আমাদের মতো ঠিক এতটা পরশ্রীকাতর আর ঋণাত্মক অর্থে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো লোক পৃথিবীর আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।
একটু নিজেদের দিকে তাকালেই বুঝবো আমাদের আসলে আমাদের নিজেদের নিয়েও সমস্যা রয়েছে! আর যাদের নিজেদের নিয়ে সমস্যা থাকে তাদের অন্য সকলের সন্তান, অন্যের জীবন যাপন, ধর্ম, পরিবেশ ও পরিবার নিয়ে সমস্যা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
কবি গুরু তাঁর বঙ্গমাতা কবিতায় যথার্থই বলেছিলেন,
“সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী
রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি…”
ইফতেখায়রুল ইসলাম, পিপিএম : সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডেমরা জোন)
[লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংকলিত]