বৃহস্পতিবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১৯শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

অামাকে জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাবেন? অামি কোথায় যাবো সেটা না বলে তার দিকে তাকিয়ে অাছি!

অাজ বাসা থেকে একটু দেড়ি করে বের হলাম। বাসার সামনে রিক্সার জন্য দাড়িয়ে রইলাম, অামার সামনে রিক্সা নিয়ে এক বৃদ্ধা চাচাজান হাজির, বয়স অার কত হবে?? ৭০+ তো হবেই। অামাকে জিজ্ঞেস করছে বাবা কোথায় যাবেন? অামি কোথায় যাবো সেটা না বলে তার দিকে তাকিয়ে অাছি!! কারন তার যে বয়স এই বয়েসে রিক্সা কেনো চালাচ্ছে?? তার তো এখন বিশ্রাম নেওয়ার কথা। চাচা জান অাবার ও অামাকে জিজ্ঞেস করলো বাবা যাবেন না?? অামি বললাম হুম….যাবো!
বাবা কোথায় যাবেন?? অামি তার দিকে তাকিয়ে বললাম এই তো সামনে। উঠেন তা হলে….!! কিন্তু নিজের কাছে খারাপ লাগছে কারন অামি যদি তার রিক্সায় উঠি সে কি অামাকে নিয়ে চালাতে পাড়বে!! কারন তার যে শরীর মনে হচ্ছে পাড়বে না। তাই অামি তাকে বললাম চাচা জান চলেন,অামিও হাটি অাপনি ও রিক্সাটা খালি চালিয়ে অামার সাথে চলেন। চাচা জান বললো বাবা তাতে কি অামার পেট ভরবে,অামি যদি ইন কাম করে বাসায় ফিরি তাহলে, অমি অার অামার বউ খেতে পাড়বো, অার ইনকাম না করলে কালকের মত অাজ না খেয়ে থাকবো..!
তার কথা শুনে কখন যে চোখের কোণে পানি চলে এলো টের পাইনি।

তাকে অামি জিজ্ঞেস করলাম অাপনার ছেলে মেয়ে নাই, সে প্রথমে বলতে চাইনি, অামি যখন তার হাতটা ধরে বললাম তখন দেখলাম তার দুই হাতেই ফোসকা পড়ে গেছে..! কি ভয়ংকর ফোসকা,অার সে এই ফোসকা নিয়ে অাজ ও রিক্সা চালাতে অাসছে!! তার হাতের অবস্থা জিজ্ঞেস করলাম কি করে হলো,সে কান্না চোখে বললো জীবনে প্রথম রিক্সা চালাইছি…তাই এমন হলো, চালাতে চালাতে ঠিক হয়ে যাবে।
অাগে কি করতেন?? বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বললো বাবা মেলা কথা… অাপনার ও শোনার টাইম হবে না অার অামার ও রোজগার হবে না, কাল এই গুলোর ব্যথায় রিক্সা নিয়ে বের হতে পাড়ি নদী তাই খাবার ও জোটেনি!!

তার কথায় অামি ক্লিয়ার সে বিপদে পড়ে রিক্সা চালাচ্ছে। অমি তাকে একটা খাবারে দোকানে নিয়ে গেলাম,তাকে কিছু খাবার অার তার হাতের জন্য ঔষধ কিনে দিলাম,,,অার এক সাত দিন চলার মত কিছু টাকা হাতে দিলাম.! সে প্রথমে নিতে চাইনি এমন কি সে বলে ফেললো বাবা অামি ভিক্ষক না! অামি তাকে যখন বললাম বাজান, অাপনি তো ভিক্ষক না,,অাপনি তো বাবা,, অার বাবা হিসাবেই দিলাম,সে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললো নিজের ছেলেদের লেখা পাড়া শিখিয়ে, ভালো চাকুরী পেয়ে নিজের মা বাবাকে ফেলে চলে গেলো অার অপরিচিত ছেলে বাবা সম্মান দিলো। অার তখনই বুঝালাম তার ছেলেরা তার খোঁজ খবর নেয় না।

তবে নিজেক প্রশ্ন করলাম ৭দিন পরে তার জীবনটা কি ভাবে কাটবে, তখন চাচাজান জিজ্ঞেস করলাম তখন চাচাজান বললো বাবা,অামি ছেলেদের মানুষ করার জন্য যে জমি বন্ধক রাখছি সে জমি গুলো কয়দিন পড়ে,, ছুটে যাবে অার তখন অামি অার তোমার চাচি গ্রামে চলে যাবো,,দুজনের জীবনটা বেশ ভালোই কাটবে অাল্লাহর রহমতে। ওকে চাচা অাল্লাহ যেনো অাপনাকে ভালো রাখে,,চাচাজান বাসায় চলে গেলো মুখে ভরা হাসি নিয়ে, তবে যাওয়ার সময় একটা কথা বলে গেলো,, বাবা ভালো থাকে।
তবে চাচাজানের মুখের হাসিটা দারুন ছিলো, অার নিজেও শান্তি পেলাম কারন কোন দুঃখি বাবার মুখে হাসি ফুটাতে পাড়লাম।
বিঃদ্রঃ কেউ বলবেন না লোক দেখানো এটা পোস্ট করার মানে হলো,, কেউ ভালো কাজ করতে উৎসাহ হবে।
ধন্যবাদ

এ জাতীয় আরও খবর

লাশের পাশে পড়ে ছিল মালা, সিঁদুর ও সুতো!

ব্যাঙের রাজকীয় বিয়ে!

দেবর-ভাবির গোপন সম্পর্ক ফাঁস, অতঃপর মর্মান্তিক পরিণতি!

টাকার বিনিময়ে কুমারীত্ব বিক্রির ওয়েবসাইট

৩৬০ ফুট উঁচুতে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল প্রেমিক (ভিডিও)

২৪ জন ডুবুরি জম জম কূপের তলদেশ থেকে নিয়ে এল অজানা তথ্য !কুদরত দেখে অবাক বিজ্ঞানীরা

ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ২৯ বছর বয়সী শিক্ষিকার! অতঃপর…

মাত্র ৯ বছর বয়সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক! তারপর…

কলকাতা ও কক্সবাজার কিস্তিতে ভ্রমণের সুযোগ নভোএয়ারে