মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও-ছবি আছে, তবে…
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের স্বীকৃতির দাবিতে রুমী খাতুন (২৭) নামের এক তরুণী দুইদিন যাবৎ অনশন করেছে। উপজলার নওগাঁ ইউনিয়নের চাকরৌহালী গ্রামে মহাসড়ক সংলগ্ন আলী আশরাফের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটছে।
ওই বাড়ির আলী আশরাফ এর ছেলে রিপন আহমেদের (৩০) সঙ্গে বিয়ের দাবি করেছেন ওই তরুণী। এ ঘটনার পর থেকে রিপন ও তার নববধূ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার হালসা গ্রামের মোস্তফার মেয়ে রুমি খাতুনের অভিযোগ, রিপন আহমেদ টাঙ্গাইল করটিয়া সা’দত কলেজে পড়ালেখা করার সময়ে (২০১১ সাল থেকে) তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরপর ২০১৩ সালে আমরা কালেমা পড়ে বিয়ে করে সেখানে ঘর সংসার করি। তাছাড়া আমার কাছে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত কিছু ভিডিও এবং ছবি আছে। তবে বিয়ের কোন কাবিননামা নেই বলেও জানান তিনি।
রুমি আরো বলেন, রিপনের বাড়িতে একাধিকবার যাতায়াত করেছি। সবশেষে গত ১০ আগস্ট এসে রিপনের বাবাকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি চাইলে তিনি জানান, পারিবারিকভাবে বিয়ে করানো হবে। এমন প্রতিশ্রুতি দেয়ায় আমি ফিরে যাই।
কিন্ত পরে জানতে পারি রিপনকে তার পরিবার অনত্র বিয়ে করিয়েছে। তাই অনশন শুরু করেছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রিপন বিয়ে করেছে। এমন খবর পেয়ে মেয়েটি রোববার দুপুরে এসে ওই বাড়িতে বিয়ের স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেছে।
রিপন এর বড়ভাই লিটন আহমেদ জানান, ঘটনা সত্য হলেও এখন আর কি করার আছে। যেহেতু রিপনকে বিয়ে করানো হয়েছে। তাই স্থানীয়দের নিয়ে সালিশ-মিমাংসা করার চেষ্টা চলছে।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু সরকার বলেন, খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে সবকিছু জানলাম। এখন উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা সাপেক্ষে মিমাংসা করা হবে। এ বিষয়ে জানতে রিপনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।