টপ অর্ডারের হাল কি বদলাবে?
স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বুধবার আবুধাবিতে ফাইনালের আগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। যারাই জিতবে ভারতের সঙ্গে উঠে যাবে ফাইনালে। আক্ষরিক সেমিফাইনালে রূপ নেওয়া ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো করার বিকল্প নেই টাইগারদের। শ্রীলংকা এবং আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে ম্যাচ দুটি জিতেছে তা দ্রুত উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়ে। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠে গেছে।
বাংলাদেশ সর্বশেষ তিন ম্যাচে ৮৭, ৬৫, ৭৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে কেবল প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম পাঁচ উইকেটে একশ’র বেশি রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন যখন আউট হন দলের রান ছিল ১৪২। সেদিনও শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরের তিন ম্যাচে সেটা ব্যধিতে রূপ নেয়। ভারত এবং আফগানিস্তানের সামনে টপ অর্ডারের দুর্বলতা মাথা ব্যথার কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ জয়ও ওই দুর্বলতার চিন্তা নিবার্সনে পাঠাতে পারছে না।
বড় সংগ্রহের জন্য সাধারণত দলের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানরা বড় অবদান রাখেন। তারা ব্যর্থ হলে হাল ধরেন পরের দু’জন। কিন্তু শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ হলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। হয়তো ঘুরে দাঁড়ানো যায়। কিন্তু প্রতিদিন না। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের খেলা চার ম্যাচ যে রানই হয়েছে তা দ্রুত উইকেট হারানোর পর মিডল অর্ডার এবং লোয়ার অর্ডারদের সৌজন্যে।
এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেয় ছয়টি দল। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের রানের গড় করলে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় পাঁচে। এশিয়া কাপের চার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের গড় রান ২১.৪২। তালিকার প্রথম চার দল ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং হংকং। তাদের গড় রান ২৫-এর বেশি।
অথচ ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এবারের এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান প্রায় ৩৯ গড়ে রান তুলেছেন। তারা ১৩টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি করেছেন ৫০টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের রান তোলার গড় ছিল ৫৬.০৭। তামিমের অনুপস্থিতি (প্রথম ম্যাচের পর) কিংবা সাকিবের নিষ্প্রভ থাকায় সেটা ২১ গড়ে নেমে আসা বিস্ময়কর বলতে হবে।
এছাড়া শুরুর ব্যাটসম্যানদের ডট বল খেলাও চিন্তার বড় কারণ। গ্রুপ পর্বে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৭১টি ডট বল খেলেছে। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংস স্থায়ী হয় ২৯৫ বল। তার মধ্যে ডট বল ছিল ১৯০টি। শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ডট কিছুটা কমছে। কিন্তু তারপরও হারটা প্রায় অর্ধেক। এদিন বাংলাদেশের খেলা ৩০০ বলের মধ্যে ১৪৪টি ডট বল ছিল!