আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ: মির্জা ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য নয়, আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। এ কারণে যত রকমের দুষ্টামি আছে, তা করছে সরকার। ইভিএম আনবে নাকী! আমরা বলেছি ইভিএম চলবে না। ইভিএম আমদানী করবে। আমরা আরো শুনতে পাচ্ছি, পুলিশকে বলা হচ্ছে সমস্ত নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে, অমুক করা হবে। হোয়াই ! নির্বাচন যদি করতে চান সবাইকে মুক্ত করে নির্বাচন করেন। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তাদের তারা জনগণকে ঠেকাতে পারবে কিনা। কিভাবে ঠেকাবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা তারা করুক।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত আছে।আবারও কর্মসূচি আসছে এবং জোরালো কর্মসূচি আসছে। সময়মত ঠিক সময়ে জোরালো কর্মসূচি দেখতে পারবেন। কেমন কর্মসূচি আসছে ঠিক সময়ে দেখতে পারবেন। জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। এই সরকারের দুঃশাসন এবং অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণ আবার রাস্তায় নামবে। তখন সরকারের তাসের ঘর ভেঙে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। এই সরকারের পতন হবে।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথসভায় দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
নির্বাচনে দলের কর্মকৌশল কী হবে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলছি আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। এটা হচ্ছে আমাদের প্রথম শর্ত। তারপরে বলেছি যে, নির্বাচন করতে হলে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং সব দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচনের সময়ে সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
তিনি বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার বিষয়ে দলের সংবাদ সম্মেলনের খবর পত্র-পত্রিকায় কম গুরুত্বে প্রকাশে গণমাধ্যমের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা গত সোমবার এই বিষয়ে আপনাদের সামনে প্রেস ব্রিফিং করেছি। দুর্ভাগ্যের কথা আজকে আমরা দেখছি প্রিন্টিং মিডিয়াতে এটাকে বেশি দেয়া হয় নাই। আমি জানতে চাই যে, কেনো দেয়া হয় নাই। এতো বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে বিষয়টা একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা, যেটা একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জড়িত আছে। যেখানে সকল তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আমরা এটাকে উপস্থাপন করেছি। দুর্ভাগ্য আমাদের সেই বিষয়গুলোকে ২/১ টা পত্রিকা ছাড়া অন্য পত্রিকাতে সেভাবে তুলে ধরা হয়নি। কেনো? কারণ আমরা জানি, পেছন থেকে আপনাদের আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। পেছন থেকে বলা হয়েছে এটাকে এভাবে দেয়া যাবে না, গুরুত্ব দেয়া যাবে না, বলা হয়েছে এভাবে ছাপানো যাবে না। কারণ একদলীয় সরকার বসে আছে তারা আপনাদেরকে বিরত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।