সমাজচ্যুত পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায়, তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা
নিউজ ডেস্ক।। মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় দুবাই প্রবাসী এক পরিবারকে তিনমাস ধরে এক ঘরে সমাজচ্যুত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে মা লুৎফুন্নেছা গতকাল ওই গ্রামের মো. নূর হোসেন, মো. রফিক মিয়া, মো. ফারুক মিয়া, মো. সুরাব মিয়া ও মো. নোয়েল মেম্বারকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলার চাঁনমারি গ্রামে।
থানার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত জুন মাসে গ্রামের মো. নূর হোসেন তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে লুৎফুন্নেছার মেয়ের (ফারজানা আক্তার) বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হওয়ার জন্য ভয়-ভীতিও দেখানো হয়। সেজন্য তাকে ও তার মেয়েকে তিনমাস যাবৎ একঘরে রেখে সমাজচ্যুত রাখা হয়েছে। দুবাই প্রবাসী হারুন মিয়ার স্ত্রী লুৎফুন্নেছা বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে আমি একঘরে সমাজচ্যুত হয়ে আছি।
গ্রামের কেউ আমার বাড়িতে আসে না। কথা বলে না। সেকারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। আমিও কারো বাড়িতে যেতে পারি না। এবারের ঈদে কারো সঙ্গে শরিক হয়ে কোরবানিও দিতে পারিনি। এখন আমাকে সমাজে তোলার জন্য নূর হোসেন আমার নিকট ২০ হাজার টাকা দাবি করছে। ’
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এএস আই মো. আল আমীন বলেন,‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রামের মানুষজন বলছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে কেউ কথা বলেন না। এটা তো খুব খারাপ জিনিস। এখনতো সমাজচ্যুত করার বিধান নেই। গ্রামের ১০-১২ জন নাকি একটি কাগজে স্বাক্ষর করে সমাজচ্যুত করেছে। প্রভাবিত করার বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্ত করছি। থানায় গিয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন-‘এই মাত্র এ বিষয়টি আমি জানলাম। সমাজচ্যুত করার বিষয়টি আইনত গর্হিত অপরাধ। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ওসিকে নির্দেশনা দিবো। উৎস: মানবজমিন।