বুধবার, ১৮ই জুলাই, ২০১৮ ইং ৩রা শ্রাবণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যারা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। বাংলা চলচ্চিত্রের বয়স বহুদিন হলেও ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ দেওয়া হচ্ছে ১৯৭৫ সাল থেকে। কিন্তু বিভিন্ন বছরে বিভিন্ন কারণে এই সম্মানজনক পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কয়েকজন খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী। কিন্তু কেন তারা পুরস্কার গ্রহণ করেননি তা জানাননি কেউই।
কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে ‘জননী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু সে পুরস্কার শাবানা গ্রহণ করেননি।

১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কারে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল সৈয়দ শামসুল হকের। তিনি সেটা গ্রহণ করেননি।
ঠিক এর পরের বছর মানে ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। ‘নতুন বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুবর্ণা পুরস্কার আনতে যাননি।
১৯৯০ সালে মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফার পথে হেঁটেছিলেন তার বাবা খ্যাতিমান অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা। সে বছর ‘ছুটির ফাঁদে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল গুণি এই অভিনেতাকে। কিন্তু পুরস্কারটি তিনি ফিরিয়ে
দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া চলতি বছরে ঘটে এর থেকেও অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’-এর বিজয়ীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। সেখানে ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নিয়তি’ ছবির জন্য সেরা নৃত্য পরিচালক হিসেবে হাবিবের নাম উঠে আসে। হাবিব সে সময়ই দাবি করেন, এটা নাকি জালিয়াতি। ‘নিয়তি’ ছবিতে তিনি কাজই করেননি। কাজেই তার পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়। পরে এই ক্যাটাগরি বাদ দিয়েই দেওয়া হয় পুরস্কার।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিসেবে উনিশ ক্যারেট মানের স্বর্ণের একটি পদক, একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে দেওয়া হয় এক লাখ টাকা। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা করে। অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।