পরিসংখ্যানে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে ‘থ্রি লায়ন্স’!
অনলাইন ডেস্ক : ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের সেম ফাইনালে পৌঁছেছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠার হাতছানি ক্রোয়েশিয়ার সামনে।
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। বিশ্বকাপে এই প্রথমবার মুখোমুখি হবে দুই দল।
পরিসংখ্যানে ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড লড়াই
১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপের শেষ চারে ইংল্যান্ড। সেবার সেমি ফাইনালে জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল তারা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রিটিশরা একবারই ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল তাদের ঘরের মাঠেই।
১৯৯১ সালে যুগোস্লোভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর ছয়টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকেই শেষ চারে উঠেছিল তারা। সেবার চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে সেমিফাইনালে হারের পর তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারায় তারা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ক্রোয়েশিয়া। ডি-গ্রুপে তিন ম্যাচই জিতে পুরো নয় পয়েন্ট নিয়ে নক আউট পর্বে পা রাখে জলটকো দালিচের দল। গোল করেছে ৭টি, আর গোল হজম করেছে মোটে একটি।
অন্যদিকে গ্রুপ রানার্স হয়ে নক আউট পর্বে ওঠে ইংল্যান্ড। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-০ গোলে হারে ব্রিটিশরা।
২টি গোল করে রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ গোলদাতা অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ। ৬টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ ১১টি গোল করেছিল ইংল্যান্ড। এবার এরই মধ্যে বিশ্বকাপের এক আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। সেমি ফাইনালে নতুন নজির গড়ার সুযোগ থাকছে তাদের সামনে।
বিশ্বকাপে এর আগে কখনও ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি ক্রোয়েশিয়া। আন্তর্জাতিক কোনও টুর্নামেন্টে দুই দলের একমাত্র দেখা হয়েছিল ২০০৪ সালে ইউরো কাপে। সে সময় ৪-২ গোলে ইংরেজদের হারিয়েছিল ক্রোটরা।
সব মিলিয়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৭বার। চারবার জিতেছে থ্রি লায়ন্স। ক্রোয়েশিয়ার জয় মাত্র দুটিতে। ১৯৯৬ সালে দুই দলের প্রথম ম্যাচ ছিল গোলশূন্য ড্র।