মাত্রাতিরিক্ত উদযাপনে ফ্রান্সে ২৭ জন আহত
স্পোর্টস ডেস্ক: রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠলো ফরাসিরা। উদযাপনটাও হয়তো মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল। ফ্রান্সের নিস শহরে আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে অন্তত ২৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে সেমি ফাইনাল ম্যাচের ৫১ মিনিটের মাথায় তারকা ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতির গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি বেলজিয়াম। ম্যাচ রেফারির শেষ বাঁশিতে তাই আনন্দে মেতে উঠে ফ্রান্সের ফুটবল পাগলরা। যারা নিসে জড়ো হয়েছিলেন বিগ স্ক্রিনে খেলা দেখতে তারাও মেতে উঠেছিলেন উন্মাদনায়।
আনন্দ উদযাপন ছাড়িয়ে সেটা হয়ে যায় মাত্রাতিরিক্ত। নিসের খোলা জায়গায় উপস্থিত ফরাসিরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে আতশবাজি ফোটান। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। স্থানীয় পুলিশ প্রসাশন থেকে জানানো হয়েছে, বাজি ফোটানোর সময় আশপাশের দোকানে আগুন ধরে যায়। আতঙ্কিত মানুষ দৌড়ানোর সময় পদদলিত হয়ে আহত হন। বেশিরভাগের গায়ে আগুন ধরে যায়। এছাড়া, বাজি বিস্ফোরিত হওয়ায় কাঁচের টুকরো গায়ে লেগে অনেকেই আহত হয়েছেন। জয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে তারা নিজেরাই চেয়ার-টেবিল এমনকি বিয়ারের বোতল (কাঁচের) ভেঙেছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের নিস শহরে ঐতিহাসিক বাস্তিল দিবসের উৎসবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। প্রতি বছর ১৪ই জুলাই উদযাপন করা হয় দিবসটি। সেই ঘটনায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন অসংখ্য মানুষ। সেই উৎসবে ১৭৮৯ সালের ১৪ই জুলাই ফ্রান্সের সাধারণ জনগণের বাস্তিল দুর্গ দখলের ঘটনাটিকে স্মরণ করা হয়। ঐ ঘটনাটিকে ফরাসি বিপ্লব ও আধুনিক ফ্রান্সের একটি প্রতীক হিসেবেও গণ্য করা হয়।
ফরাসিদের ঐতিহাসিক বাস্তিল দিবসের উৎসবের পরের দিনই ফাইনাল খেলতে নামবে এমবাপে-জিরুদ-গ্রিজম্যানরা। ১৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল। জিততে পারলে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার উদযাপন করতে পারবে। এমনটি হলে মাত্রাতিরিক্ত উদযাপনে বার বার শিরোনামে আসা ফরাসি ফুটবল পাগলরা সেদিন কী করবে সেটার দিকেও অনেকের চোখ থাকবে।