স্থানীয় নির্বাচনে জয় ধরে রাখতে চায় আ.লীগ
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় নির্বাচনের জয়ের ধারা ধরে রাখতে চান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির শীর্ষ নেতাদের মতে, স্থানীয় নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনোবল থাকবে চাঙ্গা । আর এ জয়ের প্রভাব থাকবে জাতীয় নির্বানেও।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম এই প্রতিবেদকে বলেন, স্থানীয় নির্বানের ধারাবাহিক জয় শেখ হাসিনার উন্ন্য়নের ধারা অব্যাহত রাখার সুফল। আগামী স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে ধারাবাহিক জয় ধরে রাখতে সরকার দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপিকে জনগণ কি দেখে ভোট দিবে। তাদের কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ নেই,তারা নেতিবাচক রাজনীতিতে মেতে থাকে,তাই জনগণ তাদেরকে ভোট দেয় না। আশা করি সামনের নির্বাচন গুলোতেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করেন স্থানীয় নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে বিএনপির মাঠপর্যায়ের ও সাংগঠিক শক্তি আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। এর ফলে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা সম্ভব হবে না।
একাদিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মবিশাসী হয়ে ওঠেছেন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে। কারণ আগামী নির্বাচনে বিজয়ের পথ দেখাচ্ছে এ বিজয়। নৌকা প্রার্থীর বিজয়ের জন্য খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে যে কৌশল গ্রহন করেছে আওয়ামী লীগ। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে সব কৌশল প্রয়োগ করবে ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় ঘটলে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নির্বাচনের মাঠে রাখা কষ্ট হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম হানিফ এ প্রতিবেদককে বলেন, জনগণের কল্যাণে যেসব কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এ বিজয় তারই সুফল। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থার কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয় হয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে সব নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় নির্বাচনে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। স্থানীয় নির্বাচনে জয়ের উৎসব পালন করতে করতে জাতীয় নির্বাচনের সময় চলে আসবে। আর জাতীয় নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকবে না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সংশয়-সন্দেহ দানা বাঁধতে পারবে না। তাছাড়া ক্ষমতসীনরা জাতীয় নির্বাচনে কোনো ‘রিস্ক’ নিতে চান না। নির্বাচনে পরাজিত হলে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মনোবলে চিড় ধরে, হতাশ হয়। সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতারাই চান, তাদের দলের প্রার্থীর বিজয়ী হবে। ‘জয়-পরাজয়ই রাজনৈতিক দলের একমাত্র রাজনীতি।