নতুন করে কোটা আন্দোলন : কলকাঠি নাড়ছেন তারেক
সংসদে অর্থবিল-২০১৮ পাশ হওয়ার পরদিন হঠাৎ করেই আবার মাঠে নামল কোটা আন্দোলনকারীরা। কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনের চেষ্টা করছে তারা। বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু মানুষও কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতিও প্রকাশের চেষ্টা করছে। তবে, সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের আবার সংঘবদ্ধ দিতে চায় না। কারণ, গোয়েন্দা সূত্রে খবর এসেছে, লন্ডনে পলাতক বিএনিপ চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় নতুন করে কোটা আন্দোলনের শুরু হয়েছে। আর কোটা আন্দোলনকারীদের ব্যবহার করে বড় পরিসরে আন্দোলনের পাঁয়তারা করছে বিএনপি। বিষয়টি নজরে আসার পরই সরকার এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবর, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করেছে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ মদদ পাচ্ছে। ওই শিক্ষকদের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠকে বসেছে আন্দোলনকারীরা।
রোজার আগে থেকেই বিএনপির নেতৃবৃন্দ বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বলছিলেন,ঈদের পর আন্দোলন হবে, এমন গণঅভ্যুত্থান করা হবে যে সরকারের পতন হবে, সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিত্তি করেই।
জানা গেছে, আগে থেকেই ঠিক করা ছিল ঈদুল ফিতর শেষে বাজেট ঘোষণার পরপরই আন্দোলন শুরু হবে। শুরুটা হবে কোটা আন্দোলনকারীদের দিয়ে। পরে আন্দোলন বিএনপির প্রত্যাশা অনুযায়ী গতি পাবে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, কোটা আন্দোলনকারীদের গত কয়েকদিন ঘরেই সংগঠিত করেছে বিএনপি। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া কোটা আন্দোলনকারীদের মদদ দিয়েছে। কোটা আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করেছেন তারেক। কোটা আন্দোলনের সূত্র ধরেই বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছেন লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
বিএনপি সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংশ্লিষ্টতা ও সংগঠনের খবর গোয়েন্দাদের মাধ্যমে সরকারের কানেও পৌঁছেছে। আর এ কারণেই নতুন করে শুরু হওয়া কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠিত হতে দিতে চাচ্ছে না সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার সহনশীল ভাবেই নিয়েছে। কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। কোটা সংস্কারের জন্য কমিটিও হয়েছে। সংসদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় নিয়ে অপর একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে। কোটা সংস্কার নিয়ে প্রশাসন যখন আগাচ্ছে তখন আবার কেন আন্দোলন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হঠাৎ করেই আবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের লক্ষ্যই হলো নির্বাচনের আগে বড় আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। আর বিএনপি লক্ষ্য হলো, পরে আন্দোলনকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে রূপান্তরিত করা। সূত্র-বাংলা ইনসাইডার