যৌন হয়রানি বন্ধে পূর্নাঙ্গ আইনের খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বর্তমান সময়ে একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। বহুকাল আগে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের একটি রায় থাকলেও এখন পর্যন্ত হয়নি কোনও পূর্নাঙ্গ আইন। তাই নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে এ বিষয়ে একটি পূর্নাঙ্গ আইন প্রণয়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ‘জেন্ডার প্লাটফরম’।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ বিষয়ে একটি খসড়া আইন প্রস্তাব পেশ করে জেন্ডার প্লাটফর্ম। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়ন, নিরাপত্তা ও বৈষম্য নিয়ে কর্মরত সাত সদস্য সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জেন্ডার প্লাটফর্ম।
সেমিনারে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন- ২০১৮’ নামে অভিহিত এই খসড়া আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংগঠনটি।
বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রণাধীনসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের জন্য এই আইন প্রযোজ্য হবে বলে বলা হয় এই প্রস্তাবনায়।
হাইকোর্টের রায়ের সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় সংযোজন করা হয় খসড়া আইনের প্রস্তাবনাটিতে। পাশাপাশি অভিযোগ কমিটি গঠন, অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান পরিচালনার পদ্ধতি, অপরাধীর লঘু দণ্ড ও গুরু দণ্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয় প্রস্তাবনাটিতে।
বৈঠকে ওয়ার্কাস গ্রুপ অব আইএলও -এর সভাপতি ক্যাটলিন প্যাসচিয়ার বলেন, ‘মূলত আমাদের সবার উদ্দেশ্য এক; সেটা হলো যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা। বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে সচেতন। আইন প্রণয়নে সরকারকেই আগে উদ্যোগী হতে হবে। জুন মাসে জেনেভা কনভেনশনে আইএলও এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। তখন তারা চাইলে এই বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন।
ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলেকজেন্ডার কনস্টাম বলেন, ‘যৌন হয়রানি বন্ধ করতে অবশ্যই একটি আইনের প্রয়োজন। এই আইন সম্পর্কে শ্রমিক, মালিকপক্ষ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সকলের মতামত অত্যন্ত জরুরি বলেও আমরা মনে করি।’
গোলটেবিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার কুন উস্টেরম, ফেয়ার ওয়ার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্ট্রিটিব বাবলু রহমান প্রমুখ।