দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের এজেন্ট : মওদুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘দুদক সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। সরকারের যে উদ্দেশ্য এই দুদকেরও একই উদ্দেশ্য। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা, যাতে তারা নির্বাচনে না আসতে পারে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে জোটের শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মওদুদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমি সরকারকে বলব, আপনারা যত ধরনের অত্যাচার নির্যাতন কিংবা ষড়যন্ত্র করেন না কেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এটা প্রমাণ হবে, সেদিন জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে। সেদিন আওয়ামী লীগকে বিদায় নিতে হবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই।’
দলের শীর্ষ পর্যায়ের ৮ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদপত্রের মাধ্যমে তাদের চরিত্রহননের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এটা তাদের ষড়যন্ত্রের একটা অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের মূল উদ্দেশ্য একটাই, তা হলো খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা ও বাকি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, যাতে করে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, ‘সরকারের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হবে। দেশের জনগণও এটা কখনও গ্রহণ করবে না।’
দুদকের ব্যাপারে মওদুদ বলেন,‘তাদের সম্পর্কে কি বলব? এই কমিশন অনেক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে গঠন করেছিলাম আমরা। সত্যিকার অর্থে যারা দুর্নীতি পরায়ণ বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দুর্নীতি ধরবে, একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এখন এই দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের তল্পিবাহক এক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজকে এই কমিশন সরকারের একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের ইচ্ছাপূরণ করবার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আমাদের দলকে দুর্বল করা যাবে না।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল নিয়ে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচার সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী বলে এর কঠোর সমালোচনা করেন মওদুদ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের এই আলোচনা সভায়। ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ( কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপা‘র সভানেত্রী রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনপিপি‘র মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।