৭.৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৭.৬৫ শতাংশ। যা চলতি বাজেটে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধির চেয়েও বেশি। চলতি বাজেটে ৭.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আগের বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭.২৮ শতাংশ।
সামগ্রিক অর্থনীতিতে এ গতিশীলতার ফলে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫২ ডলার। যা আগের অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৬১০ ডলার। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ১৪২ ডলার।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) অর্থনীতির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিবিএস জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ের সাময়িক এ হিসাব করেছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএসের এ হিসাব তুলে ধরেন। বৈঠকে এ তথ্য অনুমোদন করা হয় বলে পরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি জানান, মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি হারের এ উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির এসব তথ্য তুলে ধরা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে এ ফসল অর্জিত হয়েছে বলে কামাল জানান।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি (দেশের মোট দেশজ উৎপাদন) ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ দাঁড়াবে। গত অর্থবছরে এর হার ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে অর্জন লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে বৈঠকে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে জিডিপির আকার বাজারমূল্যে দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। আগের বছরে ছিল ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা ছয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছি। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌঁছানোর কথা।
বিবিএসের হিসাবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ, আগের বছর ছিল ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শিল্প খাতে ৬. ৩০ শতাংশ, আগের বছর ছিল ৬.২৩ শতাংশ এবং সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।