আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত কনটেইনার রেল যোগাযোগ
মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলক-ভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কনটেইনার রেল যোগাযোগ শুরু করছে। ভারতীয় রেলের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে এই ধরণের যোগাযোগ ছিল না।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার দেগে এবং বাংলাদেশের দর্শণা সীমান্ত দিয়ে এই কনটেইনার রেল যাতায়াত করবে।
ভারতীয় পূর্ব রেল সদর দফতর থেকে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় জানানো হয়, ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার কলকাতার কাটাপুকুর কনটেইনার করপোরেশন অফ ইন্ডিয়ার টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। পরীক্ষামূলক এই কনটেইনার-বাহি রেলের আনুষ্ঠানিক ফ্ল্যাগ অফ করবেন রেলের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে পরে পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এতদিন পণ্য পরিবহনে রেলের রেক যেতো। এবার থেকে কনটেইনার-বাহী বিশেষ রেল যাবে ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ৪শ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করে । টাকার হিসেবে তা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ চুক্তির আওতায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়।
এই ১৭টি প্রকল্পের মধ্যেই ছিলো বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কনটেইনার রেল যোগাযোগের চুক্তি।
একনজরে চুক্তিগুলো-
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন; পায়রা বন্দরের বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ; বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার ও তীর সংরক্ষণ; বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ নির্মাণ; সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ; বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা; চট্টগ্রামে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ; ঈশ্বরদীতে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ;
কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন তৈরি; মোংলা বন্দর উন্নয়ন; চট্টগ্রামে ড্রাই ডক নির্মাণ; মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত চার লেনে সড়ক উন্নীত করা; মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ; মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন; কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে সরাইল পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ১ লাখ এলইডি বাল্ব সরবরাহ প্রকল্প।