৮ বিএনপি নেতার শত কোটি টাকার লেনদেন তদন্তে দুদক
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের আট নেতার বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাবে ১২৫ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের একটি অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে একজন ব্যবসায়ী এবং একটি ব্যাংকের এমডি সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
এই নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল।
একই অভিযোগে মোর্শেদ খানের ছেলে ব্যবসায়ী ফয়সাল মোর্শেদ খান এবং ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের বিষয়েও অনুসন্ধান করবে দুদক।
সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, ‘৩০ দিনে তাদের একাউন্ট থেকে মানিলন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেনসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।’
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে দুদকের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির ওই নেতারা বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ‘বিদেশে টাকা পাচারসহ বিভিন্ন নাশকতায়’ অর্থ লেনদেন করে যাচ্ছেন বলে একটি অভিযোগ দুদকে এসেছে। সেই অভিযোগ অনুসন্ধান করা হবে।
অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন। বিএনপি নেতাদের সবার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করবে দুদকের এই অনুসন্ধান দল।
ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করা বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির দিকে নজর না দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে দুদককে ব্যবহার করা হচ্ছে।